নিরোশান ডিকবেলা ও দিনেশ চান্দিমালের লড়াকু
ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে শঙ্কা এড়িয়ে ড্র করতে সমর্থ হলো শ্রীলংকা। দুজন ৩৩.৫
ওভার ক্রিজে থেকে বোর্ডে ৯৯ রান যোগ করে বাংলাদেশকে জয় তুলে নেয়ার কোনো সুযোগই
দেননি। অতিথিরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০.১ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬০ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয়
দুই দল।
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে অলআউট হয়।
জবাবে তামিম ইকবাল (১৩৩) ও মুশফিকুর রহিমের (১০৫) সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। এছাড়া লিটন
দাস (৮৮) ও
মাহমুদুল হাসান (৫৮) হাফ সেঞ্চুরি করেন। এরপর ৩৯ রানে অতিথিদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে চতুর্থ
দিন মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
আজ প্রথম সেশনে দুটি ও দ্বিতীয় সেশনে সমান
দুটি উইকেট তুলে নিয়ে উত্তেজনা আনেন বাংলাদেশ বোলাররা। দ্রুত বাকি চারটি উইকেট
তুলে নিতে পারলে জয়ের সম্ভাবনাও উঁকি দিতো। কিন্তু তা হতে দিলেন না ডিকবেলা ও
চান্দিমাল। সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে ৩৩.৫ ওভার খেলে হতাশ করেন স্বাগতিক বোলারদের।
ডিকবেলা ৯৬ বলে ৬১ বলে ও চান্দিমাল ১৩৫ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের ড্র নিশ্চিত
করেন।
এর আগে আজ সকালে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল
মেন্ডিস ১৩.৫ ওভার ব্যাটিং করে বোর্ডে ৬৭ রান যোগ করেন। মেন্ডিসকে বোল্ড করে এই
জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস দ্বিতীয়
ইনিংসে ১৫ বলেও কোনো রান তুলতে পারেননি। তাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান
তাইজুল। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও করুনারত্নে কাটিয়ে দেন আরো ১১.১ ওভার। অধিনায়ক
করুনারত্নেকে ফিরিয়ে স্বস্তি আনেন তাইজুল। পরে ধনঞ্জয়াকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল
হাসান।
যদিও এরপর বাংলাদেশ বোলাররা প্রাণান্ত
চেষ্টা করেও ডিকবেলা-চান্দিমাল জুটিতে ফাটল ধরাতে পারছিলেন না। দুই দল ড্র মেনে নিতে দিনের খেলা
১৫ ওভারের নিচে নেমে থাকতে হয়। তাই ১৪.৫ ওভার বাকি থাকবে দুই দলের খেলোয়াড়রা হাত
মিলিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শ্রীলংকার সঙ্গে এটা বাংলাদেশের চতুর্থ ড্র।
সব মিলে, ২৩ টেস্টে
মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ মাত্র একটি জিততে সমর্থ হয়,
আর সিংহলিজরা জিতেছে ১৭টি। চট্টগ্রামে লংকানদের সর্বশেষ তিন টেস্টে জিততে
দেয়নি টাইগাররা।
আগামী ২৩ মে ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে
শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা:
৩৯৭ ও ২৬০/৬ (করুণারত্নে ৫২, মেন্ডিস ৪৮, ডিকবেলা ৬১*, চান্দিমাল ৩৯*; তাইজুল ৪/৮২, সাকিব ১/৫৮)। বাংলাদেশ: ৪৬৫। ফল: ম্যাচ ড্র।