চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফায় বড় পতন হয়েছে এডিডাসের। এ সময়ে জার্মান স্পোর্টসওয়্যার জায়ান্টের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ইউরোয় (৩২ কোটি ৭০ লাখ ডলার)। এ মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কম। এক্ষেত্রে চীনের বিক্রি কমে যাওয়াকে দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর সিএনএন।
এডিডাস জানিয়েছে, চীনের চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির কারণে মুনাফায় পতন হয়েছে। এ সময়ে দেশটিতে বিক্রি কমেছে ৩৫ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যাহত হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা।
কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার চেষ্টায় জিরো কভিড কৌশল অবলম্বন করে চীন। আরোপিত এ লকডাউনে দেশটিতে থাকা অনেক দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় এডিডাস। পাশাপাশি দেশটির কিছু অংশে দোকানে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ব্যাপক কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় চীনে বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরের বিক্রি ধরা হয়েছে গত বছরের মাত্র ২০ শতাংশ।
একটি বিবৃতিতে এডিডাস বলেছে, ২০২২ সালে বৃহত্তর চীনে প্রতিষ্ঠানের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্চের শেষ দিকে চীনের আর্থিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল। যদিও গত মাসে কর্তৃপক্ষ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করেছে। তার পরও ৪০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে তাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে রাজধানী বেইজিংয়েও বিধিনিষেধ আরো কঠোর করা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়ছে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো।
বছরের প্রথম তিন মাসে পশ্চিমা দেশগুলোয় শক্তিশালী বিক্রির কথা জানিয়েছে এডিডাস। সংস্থাটি আশা করছে, চলতি বছর বিক্রি ১১-১৩ শতাংশ বাড়বে। এডিডাসের পাশাপাশি চীনে অন্যান্য পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও কমে গিয়েছে। সর্বশেষ লকডাউনের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী নাইকির চীনা কার্যক্রম থেকে আসা আয়ে পতন হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির আয় ৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।