ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদে তুরস্কের আপত্তি

বণিক বার্তা অনলাইন

মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে তুরস্ক ইতিবাচকভাবে দেখছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এছাড়া কুর্দি ‘সন্ত্রাসী’দের আশ্রয় দেয়ার জন্য স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেন তিনি। আজ শুক্রবার ইস্তাম্বুলে  জুম্মার নামাজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।  

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি না। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য অতিথিশালা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তুরস্কের সাবেক শাসকরা ১৯৫২ সালে গ্রিসকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তিকরণে সবুজ সংকেত দিয়ে ‘ভুল করেছিলেন’ বলে জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়ে একই ভুল দ্বিতীয়বার করতে চাই না।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও উগ্র বামপন্থী দল রেভোল্যুশনারি পিপল’স লিবারেশন পার্টি-ফ্রন্ট (ডিএইচকেপি-সি)-এর সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

নিরপেক্ষতার নীতিতে অটল থাকার দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালানোর পর থেকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পক্ষে দেশ দুটির রাজনৈতিক ও জনমত নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে। সদস্য না হলেও দীর্ঘদিন ধরেই ন্যাটোকে নানাভাবে সহযোগিতা করে এসেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। খুব শিগশিরই পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটটিতে এই দুই দেশ যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করেছে তুরস্ক। তবে পশ্চিমা মিত্রদের অনুসরণ করে রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি দেশটি। কিয়েভ ও মস্কো উভয়ের সঙ্গেই আনকারার ভালো সম্পর্ক থাকায় দুই দেশের সংঘাত নিরসনে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করছে তুরস্ক। এরই মধ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের আয়োজন করেছে দেশটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন