অন্য এক মহাবিশ্বে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ

শর্মিলা সিনড্রেলা

এর আগে মুক্তি পাওয়া বেশকিছু সিনেমায় বেনেডিক্ট ক্যাম্বারব্যাচকে জাদুকরের ভূমিকায় দেখা যায়। থর থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া স্পাইডারম্যান-নো ওয়ে হোম সিনেমায়ও। এবার তিনি আবারো হাজির হলেন ডক্টর স্ট্রেঞ্জের ভূমিকায়।

ডক্টর স্ট্রেঞ্জের সিকুয়েল এল দীর্ঘ ছয় বছর পর। ফলে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। সেই বেশি প্রত্যাশার চাপ সামলাতে সিনেমাটি পরিচালনার ভার সাম রাইমির হাতেই তুলে দেয় মারভেল স্টুডিও। রাইমিরও তাই প্রচেষ্টা ছিল মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেসকে কিছুটা ওপরের দিকে তুলে ধরার। সেই প্রভাব দেখা গিয়েছে পুরো সিনেমায়ই। সিনেমাজুড়ে পপ আর্ট ষড়ষন্ত্রের মিশ্রণ দর্শকদের টেনে রেখেছে দীর্ঘ সময়।

সিনেমাজুড়ে ভয়ংকর সব রূপের মুখোমুখি হতে হয় বেনেডিক্টকে। ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেসে ডক্টর স্ট্রেঞ্জকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হয় যেগুলো মানুষকে রক্ষার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। ডক্টর স্টিভেন স্ট্রেঞ্জরূপে তিনি এক অন্য মহাকাশে যান, যেখানে রয়েছে অন্য সব পৃথিবী। আর পৃথিবী চলে নিজস্ব বাস্তবতায়। কিন্তু দরজা যদি খোলা থাকে তাহলে সেখানে যেমন হিরো প্রবেশ করতে পারে তেমনি তো প্রবেশ করতে পারে ভিলেনও। সেটাই ঘটে মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেসে। এলিজাবেথ ওলসেনের দেখা মেলে একজন উন্মাদ ডাইনি হিসেবে। যে না নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, না পারে নিজের বিশাল ক্ষমতাকে বশে রাখতে।

ডক্টর স্ট্রেঞ্জের প্রথম সিনেমায় যেন পরিচয় করানো হয়েছিল এক জাদুকরকে। আর সেটাই ছিল সেই সিনেমার বুনন। তবে সমালোচকরা বলছেন, সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমায় ক্যামেরার কাজ আর উত্তেজনা তীব্র থাকলেও গল্পটা ঠিকঠাক নেই। তাই সেখানে গিয়ে দর্শক ডক্টর স্ট্রেঞ্জপ্রেমীরা কিছুটা হতাশ হবেন বলেই মনে করেন তারা। হরর হিউমারের কিছুটা সংমিশ্রণ করা হয়েছে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেসে, যেগুলোর মধ্য দিয়ে ভয় ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন রাইমি।

সিনেমায় প্রযুক্তি ব্যবহারে চমকপ্রদ কৌশল দেখিয়েছেন পরিচালক রাইমি। সব মিলিয়ে ক্যাম্বারক্যাচ ওলেসেনের মতো অভিনেতাদের অভিনয় এবং ব্যয়বহুল অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি উপেক্ষা করার উপায় নেই। তবে সিনেমাজুড়ে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছে ক্যামেরার কাজ। তাই সিনেমাবোদ্ধারা বলছেন, যদি এটা অন্য কারো সিনেমা হতো তাহলে এত বেশি আলোচিত-সমালোচিত হতো না। শুধু মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা আর সেটা নিয়ে সবার প্রত্যাশা বেশি বলেই সমালোচনা এসেছে এত বেশি বেশি।  

১২৬ মিনিটের ইমোশন, অ্যাকশন আর হররের মিশ্রণে সিনেমাটি প্রথম তিনদিনেই আয় করেছে ৪৫ কোটি ডলার। ডক্টর স্ট্রেঞ্জের কাছে জাদু থাক বা না থাক সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার তার কাজটা করেছেন একদম ঠিকঠাক। কেউ কেউ বলছেন, সিনেমাকে একটি স্থির গল্প না ধরে বরং একটি গল্পের সেতু হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যেটা হয়তো সামনে আরো বড় কোনো গল্পের দিকে নিয়ে যাবে। সত্যিই কি তা হবে? সময় বলে দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন