কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিপর্যয় নেমেছিল উড়োজাহাজ পরিবহন খাতে। তবে সম্প্রতি কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করায় ভাগ্য ফিরেছে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস বলছে, এ বছর ব্যবসাসফল হবে। তবে ভোক্তাদের মধ্যে এখনো কভিডজনিত বিধিনিষেধ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি রয়ে গিয়েছে। ইউগভের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভোক্তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধিজনিত ভুল বোঝাবুঝির কারণে উড়োজাহাজ পরিবহন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর আরব নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও গালফ অঞ্চলের বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর সমীক্ষা চালায় ইউগভ। গবেষণায় বলা হয়, ৪৬ শতাংশ উপসাগরীয় অঞ্চলের অধিবাসী, ৩২ শতাংশ মার্কিন, ৪০ শতাংশ ইতালিয়ান ও ৪০ শতাংশ ব্রিটিশ স্বাস্থ্যবিধির কারণে এ বছর উড়োজাহাজে যাতায়াত থেকে বিরত থাকবে। সুতরাং ভোক্তাদের ভুল বোঝাবুঝিই সংশ্লিষ্ট খাত পুনরুদ্ধারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। একই কারণে সমীক্ষার ৬৮ শতাংশ গালফ অঞ্চলের অধিবাসী, ৪৬ শতাংশ মার্কিন, ৬১ শতাংশ ইতালিয়ান, ৬৫ শতাংশ ব্রিটিশ গত বছর উড়োজাহাজে যাতায়াত থেকে বিরত থেকেছেন।
এর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের পূর্বাভাস বলছিল, চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের মুনাফা ২৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে। গত মাসে সৌদি ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ফাদ হামিদাদুদ্দীন জানান, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সৌদির পর্যটন খাতে ১৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে। তবে ইউগভের সমীক্ষা বলছে, বিধিনিষেধ শিথিল হলেও ভোক্তারা অনেকেই সে সম্পর্কে অজ্ঞাত আছেন।
এদিকে এফএএফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভাব্য স্বাস্থ্যজনিত সংকট থেকে উড়োজাহাজ পরিবহন খাত সুরক্ষা করতে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন কৌশল নির্ধারণ করছে সৌদির জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন (জিএসিএ)।
এ বিষয়ে জিএসিএর আব্দুলআজিজ আল-দুয়াইলেজ বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাত্রীর ভিড় মহামারীপূর্ব অবস্থায় পৌঁছবে না। স্বাস্থ্যগত তথ্যের প্রটোকলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে আমাদের এগোতে হবে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান ও তথ্যের স্বচ্ছতা রক্ষার্থে আমাদের এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। রাজধানী রিয়াদে এ মাসেই এফএএফের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা। নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, সিইও ও নিয়ন্ত্রকরা অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করবেন। কভিডের প্রকোপ কমায়, সংশ্লিষ্ট খাতের সমস্যার সমাধান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।