বৈশাখের খাঁ
খাঁ রোদ্দুরে এবার
ঈদের আয়োজন। ঈদ মানেই
তীব্র হৈ চৈ, আড্ডা, ঘোরাঘুরি।কিন্তু
এতকিছুর মধ্যেও তো সুস্থ
থাকতে হবে। সেজন্য
একটু সতর্ক থাকার
বিকল্প নেই।
ঈদের এসব আনন্দ
আয়োজনেও সুস্থ থাকতে
মেনে চলুন কিছু
বিষয়।
ঈদে জমকালো পোশাকেরই ধারা। কিন্তু যেহেতু তীব্র গরমের দিনে ঈদ। তাই যতটা সম্ভব হালকা পোশাক পরুন। শিশুদেরও পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখুন।তাহলে এই গরমেও তারা স্বস্তি বোধ করবে। গয়না বা মেকআপেও একটু হালকা ভাব থাকলেই বেশি স্বস্তি পাবেন।
ঈদ মানেই ঘরে ঘরে ভারী খাবারের সম্ভার। সুস্বাদু সেসব খাবার উপেক্ষা করারও উপায় নেই। চেষ্টা করুন ভারী খাবারের পাশাপাশি সারাদিনে যতটা সম্ভব বেশি বেশি পানি খেতে। সুপ বা জুসজাতীয় খাবার খান বেশি করে। গরমের এই সময়ে তরল খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
সারাদিন যেহেতু
তীব্র গরমের প্রবণতা
রয়েছে, চেষ্টা করুন
দিনের বেলা রোদে
তেমন একটা বের
না হতে। বের
হলেও সানগ্লাস, সানস্ক্রিন ও ছাতা
ব্যবহার করুন। ঘোরাঘুরিটা
না হয় সন্ধ্যার
দিকের জন্যই তোলা
থাক।
বৈশাখের এই মৌসুমে
শঙ্কা রয়েছে কালবৈশাখী
ঝড়ের। ঘরের
বাইরে বের হওয়ার
আগে সেই বিষয়ে
পর্যাপ্ত সতর্কতা নিন।
ঈদের গৃহসজ্জার
ক্ষেত্রেও এবার গাছ
আর সাদা রঙের
ব্যবহার করতে পারেন
বেশি বেশি। তাহলে
ঘরে কিছুটা স্বস্তি
তৈরি হবে। ঘরটা
দেখতে শান্তি লাগলে
মনটাও ভালো লাগবে।
শিশুদের দিকে
বাড়তি নজর রাখুন। কোনো
কারণে তারা ক্লান্ত
বোধ করছে কিনা
বা কোনো অস্বস্তি
বোধ করছে কিনা
সেটা মাথায় রাখুন। এমন
কিছু মনে হলেই
বাড়তি সতর্কতা নিন।
গরমের দিনে
খাবার নষ্ট হয়ে
যায় খুব তাড়াতাড়ি। সেজন্য
ঈদের দিনে রান্না
করা খাবার ভালোমতো
সংরক্ষণ করুন। তা না হলে
পেটের পীড়ায় ভুগতে
হতে পারে।
ঘোরাফেরা ও আড্ডার
পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিশ্রামও
নিন। তাহলে
সুস্থ থাকা সহজ
হবে।