চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) আয় ও মুনাফায় ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের তিন কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রেনাটা লিমিটেডের। কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পর্ষদ সভায় এ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সমন্বিত মোট আয় হয়েছে ৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৬৮৬ কোটি টাকার বেশি বা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে পরিচালন মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ টাকা ১২ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকা ৩৯ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪১৬ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪২০ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৩৬৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ২৩ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে রেনাটা লিমিটেডের মোট আয় হয়েছে ২ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২১০ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪০৫ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ টাকা ২০ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬২ টাকা ১১ পয়সা।
