পার্সেল প্রতারণা

নয়জনের ৩১২ ব্যাংক হিসাবে শতকোটি টাকা লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হালিম শেখ। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩৫টি হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ৩০-৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। শুধু নির্মাণ শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবেই নয়, এমন অন্তত ৩১২টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে শতকোটি টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলো নয়জনের। তারা সবাই পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ফুটপাতের হকার। নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে ভাড়ায় এসব ব্যাংক হিসাব ব্যবহার হয় বলে দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নয়জনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩১২টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে মো. রাজুর নামে ৪০টি, মো. হালিম শেখের নামে ৩৫টি, গোলাম কিবরিয়ার নামে ৩৭টি, জাহিদ হাসান সাগরের নামে ৪১টি, ইউসুফের নামে ৩৩টি, আহসান হাবিব রাকিবুলের ৩৯টি, মো. মামুন হাসানের ২৩টি, মো. ফরহাদের ১৯টি মো. বাপ্পী হোসেনের নামে ৪৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৩০-৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা সবাই পলাতক।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। একই সঙ্গে একজন ভুক্তভোগী নারী গুলশান থানায় অন্য একটি মামলা করেন। 

গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেরীন ইয়াসার। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে ব্রান্ডেড নিকোলাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সে ১০ মিলিয়ন ডলার গিফট পাঠাবে বলে জানায়। এরপর ২৮ মার্চ কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে সানজিদা কুমারী পরিচয়ে একজন ফোন দেন। তিনি সুইডেন থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একটি কুরিয়ার এসেছে বলে জানান এবং পরিবহন বাবদ ৫৯ হাজার ২২৫ টাকা পাঠাতে বলেন। তখন এক্সিম ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। পরে তাকে বলা হয়, কুরিয়ারে অবৈধ ডলার রয়েছে। তার নামে মানি লন্ডারিং মামলা হতে পারে। এরপর গোপনে টাকা ছাড় করাতে আরো টাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়।

পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে আরো ২৪ লাখ টাকা পাঠানোর পর বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরে সবারই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের সরকারি পুলিশ কমিশনার খলিলুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতারক চক্রের মূল হোতারা গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নয়জন পলাতক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন