আয় বাড়লেও মুনাফা কমেছে ওয়ালটন হাই-টেকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির আয় বাড়লেও কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে। মূলত বৈশ্বিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি জাহাজীকরণ বাবদ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে কোম্পানিটির মুনাফা কমে গিয়েছে। অবশ্য বছরের শুরু থেকেই পণ্যের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করা শুরু হয়েছে। চলতি হিসাব বছরের শেষ প্রান্তিকে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গতকালের পর্ষদ সভায় চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে কোম্পানিটির পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আয় হয়েছে হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল হাজার ২৯১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে হাজার ৬৮ কোটি টাকা বা ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।

আয়ের পাশাপাশি প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির পণ্য উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে হাজার ৭১২ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে খাতে ব্যয় হয়েছিল হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খাতে ব্যয় বেড়েছে হাজার ১১১ কোটি টাকা বা ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ। একই সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। উৎপাদন পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় বড় প্রভাব পড়েছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে প্রায় ৮২০ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল হাজার ৩৩ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ২১৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ টাকা ২৬ পয়সা।

বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি জাহাজীকরণ বাবদ ব্যয় বেড়ে গেছে। বাড়তি ব্যয় সমন্বয়ের জন্য আমরা বছরের জানুয়ারি থেকেই কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়েছি। ফলে চতুর্থ প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক পারফরম্যান্সে উন্নতি হবে আশা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন