আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আপনাদের পরামর্শ কাজে লাগবে। আমরা চাই, আস্থার সংকট থাকলে তা কাটিয়ে উঠে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপি হয়, সেটা রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য, দক্ষতা বুদ্ধি দিয়ে চেষ্টা করব। জাতিটা সবার। আপনারাও আমাদের সহায়তা করবেন।

গতকাল ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সময় উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য করতে সাংবাদিক বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল চতুর্থ ধাপের সংলাপে উপস্থিত হন ২৭ জন। একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, বড় দলগুলো না এলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যায়। দলগুলোকে জবাবদিহিতায় আনার ব্যবস্থা করেন। দলের প্রতিটি স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণ, সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব রাখা ইত্যাদি বিষয় তারা মানছে না কেন? অতএব গোড়ায় হাত দেন।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, নির্বাচন কমিশন হতভাগা প্রতিষ্ঠান। যারাই হেরেছে, তারাই নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিয়েছে। কাজেই আপনারা হতভাগা প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। সেটা একটা সাহসের জায়গা। আস্থার সংকট দূর করা দরকার। ইভিএম নিয়ে আস্থার সংকট দূর করা প্রয়োজন। এনআইডি যদি সংশোধন না করেন তাহলে কিন্তু অসংখ্য মানুষ খুনের দায়ে দায়ী হবেন। কেননা অনেকেই জীবিত থেকেও মৃত হয়ে আছে আপনাদের সার্ভারে।

আমন্ত্রিতরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সীমিত ব্যবহার, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের অধীনে আনা, দলগুলোর আস্থা অর্জনসহ নানা প্রস্তাব দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন