এক মাসের ব্যবধানে আবার বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৮ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। অর্থাৎ নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ হাজার ৩৯১ টাকার ১২ কেজির সিলিন্ডার এখন ১ হাজার ৪৩৯ টাকায় বিক্রি হবে।
গতকাল বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল এক আদেশে মূল্য সমন্বয়ের এ ঘোষণা দেন। নতুন করে নির্ধারিত দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়।
বিইআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও পণ্যটির মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে। সে হিসেবে ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪৩৯ টাকা পড়ে। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পরপর তিন মাস এলপিজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সৌদি সিপি অনুসারে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম প্রতি টনে যথাক্রমে ৮৯৫ থেকে বেড়ে ৯৪০ ও ৯২০ থেকে বেড়ে ৯৬০ ডলারে উঠেছে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় এপ্রিলের জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং মূসকের হার বেড়ে যাওয়ায় এলপিজির দাম বেড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি ১১২ টাকা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পরিবহনে ব্যবহূত এলপি গ্যাসের দাম, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৬৪ টাকা ৭৮ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২ পয়সা করা হয়েছে। লিটারে বেড়েছে প্রায় ২ টাকা ২৪ পয়সা। মূল্য সমন্বয়ে সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব আকারের সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত মার্চে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৪০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৯০ টাকা ৫৬ পয়সা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও এলপিজির দাম বেড়েই যাচ্ছে। সেটারই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে।