করোনায় চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়

ঠিকাদারদের ৩৫০ কোটি টাকা দ্রুত দেয়ার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর সময় জরুরি ভিত্তিকে কেনা ৩৫০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম সুরক্ষা সামগ্রীর টাকা পরীক্ষা নিরীক্ষাপূর্বক দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, করোনার শুরুতে জরুরি ভিত্তিতে কেনাকাটা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারদের সে টাকা পরিশোধ হয়নি। এখন বলছে, ওই সময় নিয়ম না মেনে কেনাকাটা হয়েছে। কিন্তু যারা সরবরাহকারী তারা তো মালপত্র দিয়েছে। তাদের তো দোষ নেই। আমরা বলেছি, আমলাতান্ত্রিকতা না করে টাকা দিয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। অর্থ মন্ত্রণালয় এখানে আপত্তি দিচ্ছে। আমরা বলেছি, তার কাছে একটা চিঠি পাঠাতে। তিনি যেভাবে বলবেন টাকা সেভাবে পরিশোধ করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম তিন মাসে (গত বছর মার্চ-মে) সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ৩৫৪ কোটি টাকার সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়। সে সময় ৫৭ প্যাকেজে এসব সুরক্ষা, করোনা পরীক্ষা চিকিৎসাসামগ্রী কেনা হয়। এর মধ্যে ৩৪৩ কোটি টাকা প্রায় এক বছর পর গত বছরের ১২ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় সিএমএসডিকে সরবরাহকারীদের দেয়ার জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সঠিক কোনো নির্দেশনা না দেয়ায় সিএমএসডি সে অর্থ সরবরাহকারীদের দিতে পারছে না।

প্রয়াত সিএমএসডি পরিচালক মোহম্মদ শহীদুল্লাহর সময় হওয়ায় এসব কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ এনে সে সময়ের সব ধরনের সরবরাহের বিল আটকে দেন পরের পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান। তার মূল অভিযোগ, এসব কেনাকাটায় বিধিবিধান ঠিকমতো অনুসরণ করা হয়নি। এসব অভিযোগ তদন্ত করে বিল পরিশোধের ব্যাপারে সিএমএসডিকে সঠিক নির্দেশনা দিতে সিএমএসডির পক্ষ থেকে গত বছর তিনটি চিঠি দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি এবং ২৩ মে দেয়া চিঠিতে কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ, ব্যাখ্যা এবং সমাধানে নির্দেশনা চায় সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো চিঠিরই উত্তর দেয়নি মন্ত্রণালয়। পরে নিয়ে তদন্তও শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল বৈঠক শেষে শেখ সেলিম বলেন, ওই সময় যদি অনিয়ম হয়, তাহলে সেটা তো সরবরাহকারীরা করেনি। তাহলে তাদের টাকা কেন আটকে রাখবে? আমরা সেটাই বলেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও টাকা দিয়ে দিতে চান। অনিয়ম যদি হয়ে থাকে, সেটা সিএমএসডি করেছে। সরবরাহকারীরা তো করেনি। তাহলে তাদের টাকা আটকে রাখবে কেন? বিষয়ে মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানায়, তদন্ত কাজ শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন