সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে এক-চতুর্থাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতায় লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে। যদিও এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ কমে গেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক বাড়ার  বিপরীতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠকে রমজান মাসে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। যদিও গতকাল রমজানের প্রথম দিনেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। কেউ কেউ অবশ্য রমজানের কারণে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা কমানোর কারণকেই এজন্য দায়ী করছেন। অবশ্য কভিডের কারণে এর আগেও লেনদেনের সময়সীমা কমানো হয়েছে। কিন্তু সেই সময় পুঁজিবাজারে হাজার কোটির বেশি এমনকি প্রায় হাজার কোটি টাকারও লেনদেন দেখা গেছে পুঁজিবাজারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর ১২ মিনিটে ৩৩ পয়েন্ট যোগ হয় সূচকে। এরপর কিছুটা নিম্নমুখিতা দেখা যায় পুঁজিবাজারে। দিনশেষে অবশ্য ১৪ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৭৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে।  গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ারের।

ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ১৪ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৮৮ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে প্রায় পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৮৩৬ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৯৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১০ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা সাধারণ বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। এছাড়া চামড়া খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অনদিকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল পাট খাত।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৮৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৮৪৮ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন