অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ম্যারিকো

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (এপ্রিল-ডিসেম্বর) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ঘোষিত অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

৩১ মার্চ ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে ২০০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছিল। আলোচিত নয় মাসে ম্যারিকো বাংলাদেশের আয় হয়েছে হাজার কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল প্রায় ৮৭৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

এদিকে নয় মাসে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে প্রায় ২৮৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ টাকা পয়সা।

৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে মোট ৯০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ম্যারিকো বাংলাদেশ। এর আগের হিসাব বছরে ৯৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এছাড়া ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডাররা মোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী বাকি ৫০ শতাংশ দেয়া হয় চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ।

মুম্বাইভিত্তিক এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। ২০০৯ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে এর পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪১ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন