আন্তর্জাতিক বাজারে এক দশকের সর্বোচ্চে তুলার দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রতি এক দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে তুলার দাম। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে খরার প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ায় কমেছে উৎপাদন, যা বৈশ্বিক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চাহিদা থাকলেও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না আমদানিকারক দেশগুলো। মূলত কারণেই বাজারদরে এমন ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে তুলার দাম পাউন্ডপ্রতি (প্রায় ৪৫৩ গ্রাম) ডলার ৩২ সেন্টে উন্নীত হয়েছে। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পর এটিই তুলার সর্বোচ্চ দাম।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ তুলা উৎপাদক দেশ। দেশটির মোট উৎপাদনের ৪০ শতাংশই আসে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার নজিরবিহীনভাবে কমে যায়।

টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তুলার বাজার বিশেষজ্ঞ জন রবিনসন বলেন, অঙ্গরাজ্যটির পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলে মার্চ থেকে জুনের মধ্যে তুলা আবাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণে বাজারজুড়ে চলতি বছরের উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না।

অনেকেই বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিকে ২০১১ সালের সঙ্গে তুলনা করছেন। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদকরা ভয়াবহ খরার মুখোমুখি হন। সে সময় প্রতি পাউন্ডের দাম বেড়ে ডলার ২৭ সেন্টে উন্নীত হয়েছিল।

তথ্য বলছে, করোনা মহামারীজনিত কারণে বাজারে তুলার চাহিদা বেশি। কিন্তু সে অনুপাতে সরবরাহ নেই। ফলে পণ্যটির বাজার এমনিতেই সংকটের মধ্যে রয়েছে। তার ওপর খরা বাজারে অস্থিতিশীলতাকে আরো তীব্র করে তুলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন