ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ‘১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২১’
শুরু হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ অনুষ্ঠান। সোমবার শুরু হওয়া এ উৎসবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটমণ্ডল মিলনায়তনে বিভাগের শিক্ষকদের দুটি ও স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সাতটিসহ মোট নয়টি নাটক প্রদর্শিত হবে।
উৎসবে ২৬ মার্চ মঞ্চায়ন হবে স্যামুয়েল বেকেট রচিত এবং বিভাগীয় অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন নির্দেশিত নাটক ‘ওয়েটিং ফর গডো’। ২৭ থেকে ২৯ মার্চ মঞ্চস্থ হবে স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সাতটি নাটক। ২৭ মার্চ দেবাশীষ কুমার দে প্রশান্তর নির্দেশনায় শংকর কুমার বিশ্বাস রচিত নাটক ‘খারিজ’
এবং শহীদুল জহিরের গল্প অবলম্বনে মো. আশরাফুল ইসলামের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় মঞ্চে উঠবে নাটক ‘কোথায় পাব তারে’। ২৮ মার্চ অপূর্ব চক্রবর্তীর নির্দেশনায় নাট্যকার এলদাদ কোহেন রচিত নাটক ‘রেপার্টার থিয়েটার অ্যান্ড প্লে’
এবং ওয়াজেদ শাহরিয়ার হাশমীর নির্দেশনায় অ্যাথল যুগার্ডের নাটক ‘দ্য শ্যাডো অব হামিংবার্ড’
মঞ্চস্থ হবে।
২৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঞ্চস্থ হবে তিনটি নাটক। নাদিরা আনজুম মিমির নির্দেশনায় টেনেসি উইলিয়ামসের ‘দ্য টু ক্যারেক্টার প্লে’;
তাসলিমা হোসেন নদীর রচনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘শেষ গোধূলীর ঘুম’;
ইন্দ্রাণী দাশ নিশির নির্দেশনায় শাঁওলি মিত্রের নাটক ‘নাথবতী অনাথবৎ’
নাটক মঞ্চস্থ হবে।
৩০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক তানভীর নাহিদ খান নির্দেশিত ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা রীতির নিরীক্ষামূলক উপস্থাপনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘বিসর্জন’
মঞ্চস্থ হবে। পাশাপাশি দেশের মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে বিভাগ। এবারের উৎসবে প্রখ্যাত অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তা রামেন্দু মজুমদারকে সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগ।
নাট্যোৎসবের বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান লিয়ন বলেন, ১২ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের বিচিত্র আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বিভাগের জ্ঞানমুখী শিল্পচর্চা স্থানীয় ও বিশ্বজনীন জ্ঞানপ্রবাহে অভিষিক্ত হবে। এ নাট্যোৎসব এমন একটি সৃজনশীল কর্মে উদ্দীপ্ত হয়েছে, যেখান থেকে ইতিবাচক ও উত্কর্ষময় মাত্রা পেতে পারে আমাদের শিল্পচেতনা।