দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কভিড-পরবর্তী ‘নিউ নরমাল’-এ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার’ (ইএসসি) আয়োজিত ‘চতুর্থ বাংলাদেশ ইকোনমিকস সামিট ২০২২’-এর চতুর্থ দিন ‘দক্ষিণ এশিয়ায় নিউ নরমাল: অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও সামাজিক সংস্কার’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারির এ সভায় আলোচক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরিদা চৌধুরী খান, ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামযশ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিহির পান্ডে, পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের মুশতাক আহমেদ এবং গুরমানি স্কুল অব হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম তুরাব হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
আলোচনার শুরুতে ড. সেলিম রায়হান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। পরে আলোচকরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের করোনাপূর্ব ও পরবর্তী চিত্রের ওপর আলোকপাত করেন। বক্তাদের মতে, কভিডের আগের সমস্যাগুলোই কভিডকালে প্রকট রূপ ধারণ করায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিরূপ অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব দেখা গেছে।
বক্তারা প্রতিবেশী নেপাল ও শ্রীলংকার চিত্র তুলে ধরেন ও দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে চীনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক একীভূতকরণের প্রভাব তুলে ধরেন বক্তারা।