বিএসইসির নির্দেশ

একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাম্প্রতিক সময়ে ব্রোকারেজ হাউজে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে এমন ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল কমিশনের পক্ষ থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে -সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, তাদের কাছ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জকে ব্যাখ্যা নিতে বলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ। ধরনের সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করে সফটওয়্যার সরবরাহের আগে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ট্রেকহোল্ডারদের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার ইনস্টলেশনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বলা হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে ব্রোকারেজ হাউজ মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যাকআপ নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. সাইফুর রহমান মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, এরই মধ্যে আইনবহির্ভূতভাবে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে আমরা ধারণা করছি ধরনের আরো নজির হয়তো পাওয়া যেতে পারে। কারণে কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে কি না সেটি আমরা নজরদারি করছি।

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বর তামহা সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেন ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) স্থগিত করে ডিএসই। এর আগে বানকো ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বন্ধ হয়েছিল। বন্ধ হয়ে যাওয়া তিন ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহকদের শেয়ার টাকা ফিরে পেতে আগামী ১৫ মের মধ্যে আবেদন করতে বলেছে ডিএসই।

এর আগে তামহা সিকিউরিটিজের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন