বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলনে বক্তারা

ডিজিটাল বাণিজ্যে দেশের নারীরা প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল বাণিজ্যের জগতে দেশের নারীরা প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছেন। কেননা তাদের ডিজিটাল সাক্ষরতার হার তুলনামূলক কম। আবার নারীদের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসাই সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। কেননা ডিজিটাল বাণিজ্য হওয়ায় সেগুলোর বেশির ভাগই সরকারিভাবে অনিবন্ধিত। চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলনের প্রথম প্যানেল আলোচনা থেকে গতকাল এমন অভিমত উঠে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিজিটাল সম্ভাবনা এবং শাসনকার্যের ভূমিকা শীর্ষক শিরোনামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার বণিক বার্তা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক . শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অর্থনীতি বিষয়ের অধ্যাপক . মুশতাক খান ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) হেড অব অপারেশনস স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ হিসেবে কর্মরত মেহনাজ রাব্বানী।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক মুশতাক খান ডিজিটাল লেনদেনের বিভিন্ন সুবিধা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, -গভর্ন্যান্সের ফলে বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে সামঞ্জস্যহীন ক্ষমতার বিষয়টি আরো বেড়েছে। পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি বর্তমানে আরো সহজ হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করেই সরকারি মহল থেকে নীতিনির্ধারণ করতে হবে। দেশের ডিজিটাল খাতের অনেক সমস্যার মূল কারণ দেশের দুর্বল শাসনকার্য। যার সমাধান কেবল প্রযুক্তিগত দিক থেকে পাওয়া সম্ভব নয়।

মেহনাজ রাব্বানী তার বক্তব্যে নারীদের জন্য ডিজিটাল বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে বড় অংশই শহরের বাসিন্দা। কারণ তাদের ডিজিটাল সাক্ষরতা ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতা বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন