শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের। আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৭ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে পয়সা বা ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৬ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ১৮ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ৭৩ পয়সা।

এছাড়া ২০২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং। এর মধ্যে শতাংশ নগদ এবং শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৭৪ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল টাকা ৫১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ৩০ জুন ২০১৯ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫০ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৫ টাকা ১৩ পয়সা।

১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে আসা আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৬৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন