প্রতিহিংসা চরিতার্থে নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন সিইসি —মাহবুব তালুকদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিকিৎসার পেছনে খরচের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা প্রতিহিংসা চরিতার্থে নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, গত দুই বছরে তিনি নিজের চিকিৎসায় কোনো সরকারি খরচ নেননি।

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন। এতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, চিকিৎসার কারণেই এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী ইসি থেকে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সিইসি নিজেও চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন। কমিশনার হিসেবে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার বলে উল্লেখ করেন মাহবুব।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে মাহবুব তালুকদারকে একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন কেএম নুরুল হুদা। সিইসি বলেন, তিনি কখনো আইসিইউতে, কখনো সিসিইউতে থাকেন। বছরে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার ট্রিটমেন্ট করেন, এটা নির্বাচন কমিশন বহন করে থাকে।

সিইসির এহেন বক্তব্যের সমালোচনা করে দেয়া বিবৃতিতে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের জন্য সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় টেনে এনে নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন। সিইসি খরচের প্রকৃত হিসাব দেননি। ইচ্ছা করে কেউ আইসিইউ বা সিসিইউতে থাকেন না।

নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে জানান কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ক্যান্সার ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য সিঙ্গাপুর ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দুই দফা শারীরিক পরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন।

কেএম নুরুল হুদা নিজেও কমিশন থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন