কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান। এটি ছিল গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আনিছুর রহমান জানান, আরো দু-একদিন তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, হিমেল বাতাসের কারণেই তাপমাত্রা এতটা কমেছে। আজসহ আগামী তিনদিন অবস্থা থাকতে পারে।

এদিকে ঘন কুয়াশা তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার মানুষজন। বোরো চারা রোপণের ভরা মৌসুম চলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন তারা।

রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের কৃষি শ্রমিক আমজাদ হোসেন জানান, সময়টা বোরো চারা রোপণের সময়। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ঠাণ্ডার মাত্রা একেবারেই বেড়ে গেছে। এদিকে চারা রোপণের জন্য তৈরি করা জমিতে চারা লাগানোটা জরুরি। এজন্য খুব কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে। বেশি সময় পানিতে থাকা যাচ্ছে না।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন অন্যান্য শ্রমজীবীসহ অসহায় মানুষও। গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। কুড়িগ্রাম শহরের রিকশাচালক মোসলেম উদ্দিন জানান, বছরের সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে। হাত-পা পর্যন্ত বের করা যাচ্ছে না। দিনের বেলা কোনো রকমে চলাফেরা করা গেলেও সন্ধ্যা নামার আগেই বেড়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডার মাত্রা। দিনে টুকিটাকি ভাড়া মিললেও সন্ধ্যা নামার আগেই আর ভাড়া মিলছে না। অবস্থা যে কতদিন চলে!

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নানা রোগেরও প্রাদুর্ভাব ঘটছে জেলায়। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পুলক জানান, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ৫৩ রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে গড়ে ৫০ জন ভর্তি হয়েছে। রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ঠাণ্ডায় রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক অফিস সূত্র জানায়, জেলার নয় উপজেলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ৮০ হাজার কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন