চাহিদা পুনরুদ্ধারের সঙ্গে কমতে পারে স্বর্ণের দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত বছর স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদার পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়লেও তা প্রাক-মহামারী স্তর স্পর্শ করেনি। বিনিয়োগকারীদের অনীহার কারণেই অলংকার ধাতুটির মূল্য পুনরুদ্ধারে এমন শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায় ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে অলংকার কেনাকাটায় প্রবৃদ্ধি ধাতুটির চাহিদা বাড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর সর্বোচ্চ পরিমাণ।

প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর দ্বারা স্বর্ণ ক্রয়ের পরিমাণ পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং ছোট স্বর্ণের বার কয়েন ক্রয়ের পরিমাণ ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তবে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্রয়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ বুলিয়ন বিক্রয় করেছে। ফলে স্বর্ণের সামগ্রিক চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালে স্বর্ণের মোট চাহিদার পরিমাণ ছিল হাজার ২১ টন। ২০২০ সালে ছিল হাজার ৬৫৯ টন। গত বছর অলংকার ধাতুটির চাহিদার পরিমাণ বাড়লেও তা ২০১০ সালের গড় চাহিদার পরিমাণের তুলনায় কম ছিল। ২০১০ সালে স্বর্ণের চাহিদা ছিল আনুমানিক হাজার ৪৪০ টন।

২০২০ সালে মহামারীর কারণে অলংকার ক্রয়ের চাহিদা কমলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ সঞ্চয়ের উপায় হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছিল। সম্প্রতি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, ভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা কমে আসায় এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের এমন অনাগ্রহের দরুন স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ২০২০ সালের অস্থির সময়ে আউন্সপ্রতি হাজার ডলারের চেয়ে কমে এসেছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় হাজার ৮০০ ডলার সমপরিমাণ। অধিকাংশ বিশ্লেষক পরিস্থিতিতে দাম কমে আসার ধারণা করছেন।

ডব্লিউজিসি জানায়, চলতি বছর নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগ কিছুটা অস্থির হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে বন্ড উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মতো পরিস্থিতি, যা স্বর্ণের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। সুদহার বাড়ার ফলে বন্ডের মতো সম্পদের ওপর রিটার্ন বাড়িয়ে তোলা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় স্বর্ণের বুলিয়নের চাহিদা বাড়তে পারে।

ডব্লিউজিসি জানায়, চলতি বছর জুয়েলারি পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে ছোট বার কয়েনের চাহিদা বেশ শক্তিশালী হতে পারে। একই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় চালিয়ে যেতে পারে, তবে তা ২০২১ সালের তুলনায় কিছুটা ধীরগতি দেখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন