খেলা

অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ডাগআউটে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে ছাড়াই চিলির বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। চিলির কালামা শহরে বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া সফরকারীদের এগিয়ে নেয়ার পর চিলির হয়ে সমতা টানেন বেন ব্রেরেট। তার একটু পরই ব্যবধান গড়ে দেয়া গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে সব মিলিয়ে টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত রইল আলবিসেলেস্তেরা।

কভিড পজিটিভ হওয়ায় এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি কোচ স্কালোনি। অন্যদিকে চলতি মাসের শুরুতে আক্রান্ত হওয়া লিওনেল মেসি অনেক আগেই সেরে উঠেছেন। তবে এর ধকল কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট সময় দিতে পিএসজির অনুরোধে তাকে এ পর্বের দুই ম্যাচে দলে রাখেননি স্কালোনি।

ডি মারিয়ার অসাধারণ গোলে ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। রদ্রিগো ডি পলের পাসে ডি বক্সের বাইরে ২২ গজ দূর থেকে শট নেন পিএসজি স্ট্রাইকার। বল বুলেট গতিতে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি চিলির গোলরক্ষক। 

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ১১ মিনিট পর চিলির হয়ে সমতা টানেন ব্রেরেটন। বক্সের ডান দিক থেকে মার্সেলিনো নুনেসের ক্রসে ভাসিয়ে দেয়া বলে চমৎকার হেডে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ওপর দিয়ে জালে বল পাঠান ব্ল্যাকবার্ন ফরোয়ার্ড। ছয় ম্যাচ পর এ প্রথম গোল হজম করল আর্জেন্টিনা।

৩৪ মিনিটে আবারো এগিয়ে কোপা জয়ীরা। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার ডি পলের অনেক দূর থেকে নেয়া জোরাল শট কোনোরকম ঠেকান স্বাগতিক গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো; কিন্তু বল ফিরতি চলে যায় সরাসরি ডি-বক্সে মার্টিনেজের পায়ে। জালে বল পাঠাতে কোনো ভুল করেননি ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণে মনোযোগী হয় চিলি। বিপরীতে প্রথমার্ধের তুলনায় আর্জেন্টিনার গতি কমে যায় অনেকটা। উল্লেখযোগ্য সুযোগ অবশ্য কেউই তৈরি করতে পারেনি। এ জয়ে ১৪ ম্যাচে নয় জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। ১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে একুয়েডর। প্যারাগুয়ের মাঠে ১-০ গোলে জয়ী উরুগুয়ে সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমান ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে কলম্বিয়া। পেরুর পয়েন্টও সমান ১৭। ১৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে চিলি। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দেশের বাছাই থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ‍টিকিট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বুকিং করেছে।