দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ডালের দাম কমেছে ৩-৪ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সময় বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকে। এ কারণে চাহিদা কিছুটা কম।
নিতাইগঞ্জের ডালপট্টি পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশী ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি। একই ডাল এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা দরে। সে হিসাবে দেশী ডালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা। ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। একই ডাল ১০ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১১৬ টাকা দরে। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিপ্রতি দেড় টাকা। বোল্ডার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে। একই ডাল সাতদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছে ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে। এটির দাম কমেছে ৩ টাকা। বোল্ডার ভাঙা ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮৩ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৮৫ টাকা কেজি। পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি। একই ডাল এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৪৭ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি দাম কমেছে ২ টাকা।
মুগডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি। একই ডাল এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি। মুগডালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা।
ডাল ব্যবসায়ী বাসন্তি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা জানান, শীতের সময় বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকে। চাহিদা কম থাকার কারণেই ডালের দাম কমতির দিকে।
ডাল ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা জানান, জানুয়ারির শুরুর দিকে ডালের দাম ছিল আকাশচুম্বী। সে হিসেবে বাজারদর খুবই স্বল্প মাত্রায় কমেছে। দেশীয় ডাল আসতে শুরু করলে বাজারে দাম আরো কিছুটা কমবে।