এফডিসিতে আজ ভোট উৎসব

ফিচার প্রতিবেদক

সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফডিসি) মেতে উঠবে ভোটের উৎসবে। প্রতিবারের মতো এবারের নির্বাচন ঘিরেও চলচ্চিত্র শিল্পীদের মধ্যে দেখা দেয় প্রাণচাঞ্চল্য। ঝিমিয়ে পড়া এফডিসি জমে ওঠে। কানায় কানায় ছেয়ে যায় রঙিন ব্যানারে। নবীন শিল্পীদের পাশাপাশি প্রবীণদেরও দেখা যায় এফডিসিতে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন একটু বেশিই নজর কেড়েছে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের অংশগ্রহণে। চলতি মেয়াদের সভাপতি মিশা সওদাগরের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ দাঁড়িয়েছেন নায়ক জায়েদ খানের বিপক্ষে। মিশা-জায়েদ গত দুই মেয়াদে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে এবার নতুন মুখ আসবে, নাকি পুরনোরা থেকে যাবেন, প্রশ্ন ঘুরছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এবার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কেননা মিশা-জায়েদ প্যানেল নানা কারণে শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়। মহামারীর সময়টায় তারা শিল্পীদের পাশে ছিলেন বলেও ভোটের মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন। প্যানেলে আছেন রুবেল, ডিপজলের মতো জনপ্রিয় তারকা। যদিও মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল, বিরোধীদের সদস্য না বানানোসহ বেশকিছু অভিযোগ আছে। অন্যদিকে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন পরীক্ষিত সংগঠক। তিনি দীর্ঘদিন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করে চলচ্চিত্রাঙ্গনের পাশাপাশি জাতীয়ভাবে পরিচিত। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও তার ঝুলিতে আছে একুশে পদক। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদেও এক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া চিত্রনায়িকা নিপুণ, নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌসের জনপ্রিয়তাও প্যানেলের বাড়তি অনুপ্রেরণা। তার পরও মিশা-জায়েদের ভোট অনেক। গত নির্বাচনে পুরো প্যানেল নিয়ে তারা জয়লাভ করেন। ফলে দুই প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও জিততে হলে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে যেকোনো প্যানেলকে। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হাবীবও সেই ইঙ্গিত দিলেন। সাংবাদিকদের বলেন, এবার শক্ত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ভোটের মাঠ সুষ্ঠু রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন পদ্ধতির স্বচ্ছতাও বজায় রাখা হবে।

তিনি জানান, নির্বাচন ঘিরে এফডিসি জমে উঠেছে। অনেক দিন পর এফডিসির সামনে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে, যা নব্বইয়ের দশকে দেখা যেত। অতীতে দু-একবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এবার সে সুযোগ নেই। শেষ হাসি তিনিই হাসবেন, যিনি ভোট বেশি পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন