কবি ও আবৃত্তিকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য কবি ও আবৃত্তিকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে কবি ও আবৃত্তিকারকদের। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের সকলের প্রতি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২০২২’-এর উদ্বোধন এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আবৃত্তি উৎসবে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কবিতা, গান, নটক তথা সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে ও মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় তা আর কোনো কিছুতে হয় না। জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পরও যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তখনও প্রতিবাদ করেছেন কবি ও আবৃত্তিকারকরা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে, মানুষ সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়। সে সময় অনেকেই যে যেভাবে পেরেছেন, লিখেছেন, নাটক করেছেন, সাহিত্য রচনা করেছেন, বই ছাপিয়েছেন, প্রতিবাদ করে গ্রেফতারও হতে হয়েছে কাউকে কাউকে। কিন্তু থেমে থাকেননি কেউ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওপর কত বার আঘাত এসেছে কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি, প্রতিবারই প্রতিবাদ করেছে। এক একজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার আমাদেরকে যা কিছু দিয়ে গেছেন এগুলো আমাদের সম্পদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পাঁচ দিনব্যাপী এই আবৃত্তি উৎসবে উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদ্বয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’-এর প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন