পূর্ব ইউরোপে চলমান সংকট নিরসনে ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি বরাবরই জানিয়ে আসছে রাশিয়া। এবার এ দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশটিকে আক্রমণ করতে পারে- এমন আশঙ্কার মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। খবর বিবিসি।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ ঘটনাটিকে ইউক্রেনে আক্রমণের সম্ভ্যাব্য প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও আক্রমণের করতে চাওয়ার দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
তবে ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ নীতি ও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি লিখিতভাবে জানিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ইউক্রেনসহ অন্য কোনো দেশকে কখনোই ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি অন্যতম।
এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছেন ব্লিংকেন। ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার সামনে কূটনৈতিক পথ খোলা আছে, রাশিয়ার উচিৎ সেটি গ্রহণ করা।
ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ন্যাটোর মতো নিরাপত্তা জোটে দেশটির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অধিকার দেশটির আছে- এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার বলে জানান ব্লিংকেন। তিনি বলেন, কূটনীতির প্রশ্নে আমাদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে কোনে সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে এবং রুশ আগ্রাসন যৌথভাবে প্রতিহত করার লক্ষ্যে কাজ করিছি। এখন দেখার বিষয় রাশিয়া কী করে। যাই করুক, আমরা প্রস্তুত আছি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, এই সপ্তাহে ইউক্রেনে তিন চালানে সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে জ্যাভলিন মিসাইল, অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র, কয়েকশ’ টন গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে।
মস্কোর নিরাপত্তা বিষয়ক দাবির মধ্যে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণমুখী নীতির অবসান অন্যতম। বিশেষ করে ইউক্রেন ও জর্জিয়াসহ পূর্ব ইউরোপ থেকে ন্যাটো সেনাদের সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই দাবিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়াকে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করার দাবি করেছে। একইসঙ্গে এর পরিবর্তে সামরিক মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মস্কোর সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।