চার বছরে দেশে ২২৮ এনজিওর নিবন্ধন বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত চার বছরে দেশের মোট ২২৮টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শর্ত লঙ্ঘনসহ নানা কারণে এসব এনজিওর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এ প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, বর্তমানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীন নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা বিদেশী ২৬০টি ও দেশীয় দুই হাজার ২৬৬টিসহ মোট দুই হাজার ৫২৬টি।

প্রকল্পের নাম,অনুমোদনের তারিখ, মেয়াদ, টাকার পরিমাণ,প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্য, জেলা/উপজেলায় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ, বহুবর্ষী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আলোচ্য বর্ষে বরাদ্দ, আলোচ্য বর্ষে প্রকৃত ব্যয়, উপকারভোগীর সংখ্যা, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কিনা, যদি করা হয় তাহলে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদিত পত্রের শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো মনিটরিং করা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ অনুসারে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কোনো ব্যক্তি ও এনজিও পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম মনিটরিং করে। এ আইন অনুযায়ী ব্যুরো প্রয়োজন মনে করলে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে পারে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণকারীও নিয়োগ করতে পারে। এছাড়াও পরিস্থিতি অনুযায়ী জেলায় জেলা প্রশাসক, উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এনজিও পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম ও এসবের অগ্রগতি প্রতি মাসে সমন্বয় সভার মাধ্যমে পর্যালোচনা করে থাকেন।

আইনটির ১৪ ধারায় এনজিওগুলোর অপরাধের ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী, কোনো এনজিও বা এনজিওতে কর্মরত ব্যক্তি এ আইন ও বিধি বা আদেশের বিধান লঙ্ঘণ করলে, সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোনো মন্তব্য করলে বা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করলে বা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্রপাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশে প্রচলিত আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন