চলতি অর্থবছরেই জাতীয় মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি শিগগিরই তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল তিনি বাজেট ২০২১-২২: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সংসদে উত্থাপন করেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকালের সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে জাতীয় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে। অর্থমন্ত্রীর আশাবাদ অনুযায়ী এ বছর আরো ২৩১ ডলার যোগ হবে।
অর্থমন্ত্রী সংসদে জানান, কভিড-১৯ অতিমারীজনিত বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে দ্রুতই প্রবৃদ্ধি ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের অর্থনীতি কভিড-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। রাজস্ব আয়, রফতানি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ ও মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থান সন্তোষজনক। টাকা-ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ফলে শিগগিরই অর্থনীতি তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি হ্রাস, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকুচিত হওয়া ছাড়াও আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবাস আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে শ্রমিকদের বিদেশযাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় প্রবাস আয় আগের অবস্থায় ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং সে কারণে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা থাকলেও বছর শেষে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।