নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় যাওয়ার পথে পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় কৌশলে দুই এসআইসহ গাড়ি পুকুরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া আসামি আলমগীর হোসেনকে নয়দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুই এসআই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
গতকাল ভোরে চট্টগ্রামের লোহাগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিকে বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ১৭ জানুয়ারি গোপন সূত্রে খবর ছিল টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আসছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোল প্লাজায় তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় একটি গাড়িকে সিগন্যাল দিলে এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আসামি আলমগীর। পরে পুলিশের আরেকটি টিম ধাওয়া করে মোগড়াপাড়া এলাকায় আসামি আলমগীর হোসেনকে গাড়িসহ ধরে ফেলে। এ সময় তার কাছে ৪২ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারের পর আসামিকে নিয়ে সরাসরি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আসামিই গাড়ি চালায়। সেখানে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে নিয়ে থানায় রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না। ফলে আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় গিয়ে আসামি গাড়িটি খাদে ফেলে দিয়ে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দুই এসআই কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত হন আরো এক এএসআই। আহত এএসআইকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সোনসারগাঁ থানায় কর্মরত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
