বিদায়ী বছরে জিম্বাবুয়ের স্বর্ণ উত্তোলনে উল্লম্ফন

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিদায়ী বছরে স্বর্ণ উত্তোলনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। মহামারীর প্রভাব কাটাতে দেশটির সরকার খনিগুলোর জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করে। ফলে মূল্যবান ধাতুটির উত্তোলন লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়ে যায়। জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের স্বর্ণ উত্তোলন আগের বছরের তুলনায় ৫৫ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। উত্তোলন হয়েছে ২৯ দশমিক টন। ২০২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ১৯ টন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশটির প্লাটিনাম খনিগুলোতেও স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়। এসব খনির তথ্য যোগ করলে উত্তোলিত স্বর্ণের পরিমাণ আরো বাড়বে। মোট উত্তোলনের ৬০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় বিক্রির অনুমোদন রয়েছে জিম্বাবুয়ের স্বর্ণ উত্তোলকদের। কিন্তু গত বছর সরকার উত্তোলন বাড়ানোর শর্তে এটি ৮০ শতাংশে উন্নীত করে। এই স্কিম স্বর্ণ সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এদিকে উত্তোলন বাড়লেও চোরাচালান অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কারণে প্রতি বছর এক-তৃতীয়াংশ স্বর্ণই বেহাত হয়ে যায়। জিম্বাবুয়ে স্বর্ণ বিক্রি করে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের দেয়া তথ্যমতে, স্বর্ণ চোরাচালানের কারণে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশটি প্রতি বছর ১৫০ কোটি ডলার রাজস্ব হারায়।

জিম্বাবুয়ের সরকার-সংশ্লিষ্টরা জানান, মূল্যবান ধাতুটির বেশির ভাগই বেসরকারি ক্ষুদ্র উত্তোলকদের মাধ্যমে চোরাচালান হয়ে থাকে। তারা উত্তোলিত স্বর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।

জিম্বাবুয়ের মুদ্রা প্রস্তুতকারক স্বর্ণ পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি প্রিন্টার্স অ্যান্ড রিফাইনার্স (এফপিআর) দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানটি একচেটিয়াভাবে স্বর্ণ ক্রয়, পরিশোধন রফতানি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ে চোরাচালানিদের কাছে প্রায় ১১ টন স্বর্ণ হারিয়েছে।

জিম্বাবুয়ের তুলনায় মার্কিন ডলার অনেক বেশি স্থিতিশীল জনপ্রিয়। ফলে উত্তোলকরা মার্কিন ডলারের মাধ্যমেই স্বর্ণ লেনদেন করে থাকেন।

এফপিআরের হেড অব অপারেশনস মেহলুলেলি দুবে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে স্বর্ণের দাম পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। ফলে এফপিআরের কাছে স্বর্ণ বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়েছেন বেশির ভাগ উত্তোলক। পরিবর্তে তারা চোরাচালানিদের কাছে উত্তোলনকৃত স্বর্ণ বিক্রি করে দেন। তিনি আরো বলেন, চোরাচালান বন্ধে আমরা এরই মধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এছাড়া আমাদের উত্তোলকদের সর্বোচ্চ স্বর্ণ সরবরাহে উৎসাহিত করতে রফতানি প্রণোদনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন