সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়ায় বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের নানান দিক বিদেশে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। হাওরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে হবে। তবে দেশের গ্যাস সাশ্রয় করার পাশাপাশি ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিদেশে সার কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সারের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু উৎপাদন করতে গেলে গ্যাসের সংকট তৈরি হতে পারে। ফলে বিদেশে কারখানা করে সেই সার দেশে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেই সম্ভাবনা বেসরকারি খাত উন্মোচন করতে পারে। গ্যাসের সংকট কমবে এবং বিদেশে বিনিয়োগও বাড়বে। তবে দেশের স্বার্থ যেন আগে রক্ষা হয় সেই বিষয়টি উদ্যোক্তাদের নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৭২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। হাওর এলাকায় পিলারের সাহায্য নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে এমএ মান্নান বলেন, হাওরে যেখানে ছোট সেতু দরকার সেটা করতে বলেছেন। যেন ঠিকমতো পানি চলাচল করতে পারে। চলাচলকৃত নৌকার কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা যেন সৃষ্টি না হয়। খুঁটি দিয়ে ছোট ছোট সেতু বানিয়ে ফেলতে হবে। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-এর (সিএসএডব্লিউএমপি) আওতায় সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নও করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি লাখ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে কোটি লাখ টাকা। ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরিশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার ৮০৩ কোটি লাখ টাকা। ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর যশোর জেলায় বিটাকের ছয়টি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে হাজার ১৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন