কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ . একেএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া কলেজটি জাতীয়করণের পর শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের সময় মোটা অংকের টাকা দাবি করে না পেয়ে ১৫ শিক্ষকের বেতন আটকে রাখা হয়। নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। এসব কারণে ১৯ মাস ধরে তারা বেতন না পেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অবস্থায় কলেজের ২০ শিক্ষক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়হ বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এদিকে অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজটি ২০১৭ সালে জাতীয়করণ হয়। ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন এমদাদুল হক। তিনি যোগদানের পর থেকে ভর্তি বাণিজ্যের বিষয়ে প্রায় প্রতি বছরই অভিযোগ ওঠে। গত ডিসেম্বরে নগরীর শাকতলা এলাকার সুলেমান আহমেদ নামে একজন অভিভাবক স্থানীয় এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে ভর্তি বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি তা তদন্তের জন্য শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠান। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৯ ডিসেম্বর কলেজ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সোমবার ওই তদন্ত প্রতিবেদনের কপি স্থানীয় এমপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তির বাইরে অতিরিক্ত ভর্তির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। 

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ . একেএম এমদাদুল হক বলেন, বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদনে কি আছে তা জানা নেই। ২০ শিক্ষকের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা মাথা পেতে নেব।

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুছ সালাম জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় এমপির কাছে পাঠিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন