প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে ডা. ইকবালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ হাজার ভুয়া বেনিফিশারি অ্যাকাউন্ট (বিও) খোলার অভিযোগে বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. এইচ বি এম ইকবালসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ মামলা দায়ের করেছে।

মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক পরিচালক (অপসারিত) কাজী আবদুল মজিদ, ব্যাংকটির বনানী শাখার তত্কালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ নওশের আলী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল আলম চৌধুরী ও সাবেক ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার মোখলেছুর রহমান। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ইকুইটি পার্টনার্স সিকিউরিটিজকেও (বর্তমানে ব্র্যাক ইপিএল ব্রোকারেজ) এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন কারসাজির উদ্দেশ্যে ভুয়া বিও হিসাব খোলার অভিযোগে ২০০৫ সালে একই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসামিরা রিট দায়ের করে এবং রিটের ফল তাদের অনুকূলে যায়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিএসইসি আপিল করলে মামলাটি বৈধ বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। অবশ্য পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় গোপন করে হাইকোর্টের দেয়া রায় দেখিয়ে নিম্ন আদালত থেকে মামলাটি খারিজ করা হয়।  পাশাপাশি এ মামলার নথিও গায়েব হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে এ ইস্যুতে নতুন করে মামলা দায়েরে সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কভিডের কারণে মামলা দায়েরের কাজ বিলম্বিত হয়। অবশেষে গত বছরের নভেম্বরে বিএসইসি নতুন করে এ মামলা দায়ের করে। মামলা আমলে নিয়ে এ বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের আইপিওর উল্লেখযোগ্য শেয়ার অবৈধ প্রক্রিয়ায় হাতিয়ে নিতে পারস্পরিক যোগসাজশে ২৬ হাজার ভুয়া বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন আসামিরা, যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন