
শাহজালাল
বিজ্ঞান
ও
প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্যের
পদত্যাগের
দাবিতে
আমরণ
অনশনে
বসেছেন
আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীদের
একাংশ।
এর
আগে
উপাচার্যকে
পদত্যাগের
জন্য
১৯
জানুয়ারি
দুপুর
১২টা
পর্যন্ত
সময়
বেঁধে
দিয়েছিলেন।
১৮
জানুয়ারি
পঞ্চম
দিনের
মতো
আন্দোলন
কর্মসূচি
চালিয়ে
যান
শিক্ষার্থীরা।
তারা
সারা
রাত
শীতের
মধ্যে
ক্যাম্পাসে
অবস্থান
নিয়ে
বিক্ষোভ
করেন।
তারা
উপাচার্যের
অপসারণ
চেয়ে
আচার্যের
কাছে
চিঠি
পাঠিয়েছেন।
১৬
জানুয়ারি
পুলিশ-শিক্ষার্থী
সংঘর্ষের
ঘটনায়
পুলিশ
অজ্ঞাত
২০০-৩০০
শিক্ষার্থীর
বিরুদ্ধে
মামলা
করেছে।
সেখানে
বলা
হয়,
শিক্ষার্থীরা
পুলিশের
ওপর
গুলি
ছুড়েছে।
শিক্ষার্থীদের
হল-ক্যাম্পাস
ছাড়তে
বলেছে।
তারা
ক্যাম্পাস
ছাড়েনি,
বরং
আন্দোলন
আরো
জোরদার
করছে।
তাদের
সমর্থনে
দেশের
অন্যান্য
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা
আন্দোলন
করছেন।
ঘটনার
সূত্রপাত
বেগম
সিরাজুন্নেসা
চৌধুরী
হলের
প্রভোস্টের
অসদাচরণ
নিয়ে।
১৩
জানুয়ারি
রাতে
ওই
হলের
ছাত্রীদের
সঙ্গে
অসদাচরণ
করায়
ছাত্রীরা
আন্দোলন
শুরু
করেন।
সব
শিক্ষার্থী
আন্দোলনে
যোগদান
ও
সমর্থন
জানান।
হলের
প্রভোস্টের
অপসারণ,
অব্যবস্থাপনা
দূর
করা
এবং
হামলার
বিচার
চেয়ে
সব
শিক্ষার্থী
আন্দোলনে
শামিল
হন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
চলমান
দুর্নীতি,
অস্থিরতা,
রাজনৈতিক
খেলা উচ্চশিক্ষা
ক্ষেত্রে
এক
হতাশাজনক
পরিস্থিতির
সৃষ্টি
করেছে।
সেই
হিসাবে
বিদেশী
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শাখা
খোলার
প্রস্তাবকে
সমর্থন
করা
যায়।
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
কর্তৃপক্ষ,
ইউজিসি
এবং
সর্বোপরি
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়কে
বিশেষভাবে
অনুরোধ
করব
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য
নিয়োগে
প্রকৃত
শিক্ষানুরাগী
শিক্ষকদের
উপাচার্য
হিসেবে
নিয়োগ
দেয়া
এবং
তথাকথিত
ছাত্ররাজনীতিকে
প্রশ্রয়
না
দেয়ার
জন্য।
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্যরা
একক
ক্ষমতার
অপব্যবহার
করে
ওই
পদের
সম্মানটুকু হারাচ্ছেন।
তারা
যা
করেন
সেগুলো
হচ্ছে
শিক্ষক,
কর্মচারী,
কর্মকর্তা
নিয়োগ
এবং
বিভিন্ন
আর্থিক
বিষয়ে
অনিয়ম
করা।
নিয়োগের
ক্ষেত্রে
স্বজনপ্রিয়তা
ও
আর্থিক
সম্পৃক্ততা,
একাডেমিক
ও
প্রশাসনিক
দুর্নীতি
ইত্যাদি
এখন
সাধারণ
খবরে
পরিণত
হয়েছে।
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
শিক্ষক
তথা
প্রশাসনের
এ
দশায়
ছাত্ররাজনীতি
ধারণ
করেছে
এক
কুিসত
চিত্র।
তারা
যা
ইচ্ছে
তা-ই
করছে।
সাধারণ
ও
মেধাবী
শিক্ষার্থীরা
শুধু
কোণঠাসা
নয়,
তাদের
ভীত-সন্ত্রস্ত
অবস্থায়
দিন
কাটাতে
হয়
ক্যাম্পাসে,
অথচ
বিশ্ববিদ্যালয়
থাকবে
সবার
জন্য
উন্মুক্ত।
এ
অবস্থায়
জাতির
ভবিষ্যৎ
কোন
দিকে
যাচ্ছে,
সেটি
কি
আমরা
চিন্তা
করছি?
ছাত্রনেতারা
বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনের
দুর্নীতির
চিত্র
দেখে
নিজেরাই
অনেক
কিছু
হাতে
নিয়ে
নেন।
তাদের
সামনে
যে
উদাহরণ
তারা
দেখছেন,
তাতে
এর
চেয়ে
ভালো
আর
কী
করবেন
তারা?
একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে
একটি
ছাত্র
সংগঠন
দেখলাম
উপাচার্যকে
ক্যাম্পাসে
অবাঞ্ছিত
ঘোষণা
করেছে।
আবার
উপাচার্যরা
এদের
খুশি
করেই
চেয়ারে
থাকেন।
একজন
আক্ষেপ
করে
লিখেছেন,
সব
ছাত্রকে সরকারি
ছাত্র
সংগঠন
মিছিল
করার
জন্য
আটকে
রেখেছে।
সেখান
দিয়ে
একজন
শিক্ষক
যাচ্ছেন,
তাকেও
মিছিলে
যেতে
বলছেন
এবং
আরো
বলছেন,
আজ
তিনি
সাধারণ
শিক্ষক,
তাদের
সঙ্গে
মিছিল
করলে
প্রভোস্ট
বানিয়ে
দেবেন।
লেখক
বলছেন,
সেই
দিন
হয়তো
বেশি
দেরি
নয়,
যেদিন
শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে
শিক্ষকদেরও
সরকারি
ছাত্র
সংগঠনের
মিছিল
করতে
হবে
অবস্থার
লাগাম
যদি
টানা
না
হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ
দেশের
কযেকটি
বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষকদের
গবেষণা
জালিয়াতির
প্রমাণ
পাওয়ার
পর
এ
নিয়ে
প্রতিক্রিয়া
সৃষ্টি
হয়েছে।
বেশির
ভাগ
ক্ষেত্রেই
চৌর্যবৃত্তির
অভিযোগ
উঠেছে।
বিষয়টি
হাইকোর্ট
পর্যন্ত
গড়িয়েছে।
ডক্টর
অব
ফিলোসফি
(পিএইচডি) ও
একাডেমিক
গবেষণার
ক্ষেত্রে
জালিয়াতির
অনেক
ঘটনা
ধরা
পড়ার
পর
এ
নিয়ে
তদন্ত
করতে
গিয়ে
বেরিয়ে
এসেছে
আরো
উদ্বেগজনক
চিত্র।
ইউজিসির
একাধিক
নির্দেশনায়
দেশে
বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের
পিএইচডি
ডিগ্রি
প্রদানের
অনুমতি
না
থাকলেও
সেটা
উপেক্ষা
করা
হচ্ছে।
অনুমোদনহীন
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভুয়া
পিএইচডি
সনদও
মিলছে।
আইন
উপেক্ষা
করেই
গড়ে
উঠেছে
স্টাডি
সেন্টার।
ভুয়া
ও
মানহীন
সনদ
নিয়ে
চাকরি
ও
পদায়নের
ক্ষেত্রে
বিভিন্ন
সুবিধা
নিচ্ছেন
সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিরা।
কিন্তু
এসব
সনদ
দেয়া
বন্ধে
কার্যকর
কোনো
পদক্ষেপ
নেই
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের।
একজন উপাচার্য
দায়িত্ব
পাওয়ার
পরই
নিজ
পছন্দমতো
লোক
দিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনে
সব
স্তর
সাজিয়ে
নেন।
উপাচার্যরা
নিজেদের
আত্মীয়স্বজন,
ছেলেমেয়ে,
বন্ধুবান্ধবদের
ছেলেমেয়ে,
যারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক
হওয়ার
উপযুক্ত
নন,
অথচ
শর্ত
শিথিল
করে,
আইন
ভঙ্গ
করে
তাদের
শিক্ষক
হিসেবে
নিয়োগ
দেন।
এ
ধরনের
উপাচার্যরা
তো
সত্য
কথাটি
জোর
করে
বলতে
পারছেন
না। এখন
প্রশ্ন
হচ্ছে,
তাহলে
বিশ্ববিদ্যালয়ে
কী
ধরনের
শিক্ষক
আমরা
নিয়োগ
দিচ্ছি?
আর
এটি
তো
একদিন
বা
দুদিনে
তৈরি
হয়নি!
যেভাবেই
নিয়োগ
হোক,
অন্য
যেকোনো
প্রতিষ্ঠানের
চেয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষকরা
অধিকতর
মেধাবী,
বুদ্ধিদীপ্ত
ও
আলোকিত।
তাদের
কোনোভাবে
কলঙ্কিত
করার
সুযোগ
তৈরি
হতে
দেয়া
উচিত
নয়;
বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্বার্থে,
দেশের
স্বার্থে,
মানবিকতার
স্বার্থে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
জ্ঞানের
বাতিঘর।
এখানে
স্বায়ত্তশাসন
প্রয়োজন
উচ্চশিক্ষার
গুণগত
মান
বজায়
রাখার
জন্য
এবং
গোটা
জাতি
ও
বিশ্বকে
অত্যন্ত
মার্জিত,
জ্ঞানী,
যোগ্য ও
দক্ষ
জনশক্তি
উপহার
দেয়ার
জন্য,
যাতে
তারা
দেশ,
জাতি
ও
মানবতার
সেবা
করতে
পারেন
সবকিছুর
ঊর্ধ্বে
ওঠে।
নিজেদের
প্রযোজন
ও
চাহিদামাফিক
শিক্ষক
নিয়োগ
এবং
অবকাঠামোগত
উন্নয়নসহ
অন্যান্য
শিক্ষা
ও
আনুষঙ্গিক
বিষয়
নিজেদের
মতো
পরিকল্পনা
ও
বাস্তবায়ন
করতে
না
পারলে
শিক্ষার
গুণগত
মান
উন্নয়ন
কোনোভাবেই
সম্ভব
নয়।
এজন্যই
বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্বায়ত্তশাসন
দরকার।
অথচ
রাজনৈতিকভাবে
নিযোগপ্রাপ্ত
উপাচার্যদের
কারণেই
মূলত
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
স্বায়ত্তশাসন
ভোগ
করতে
পারছে
না।
আমাদের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
ডিন,
উপ-উপচার্য
ও
উপাচার্য
তো
কোনো
রাজনৈতিক
এজেন্ডা
বাস্তবায়ন
করার
জন্য
ওইসব
পদে
বসেন
না।
তারা
সবাই
অত্যন্ত
সম্মানিত
শিক্ষক।
যে
পদেই
তারা
বসুন
না
কেন,
সবাই
শিক্ষক।
যেসব
পদে
বসেছেন,
সেগুলোও
শিক্ষকতার
সঙ্গে
প্রত্যক্ষভাবে
জড়িত।
তাহলে
তাদের
নির্বাচনের
মাধ্যমে
ওইসব
পদে
বসতে
হবে
কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভোটের
সময়
এলে
শিক্ষকদের
সেকি
দৌড়ঝাঁপ-ব্যস্ততা
দেখা
যায়
শ্রেণী
কার্যক্রম
বাদ
দিয়ে।
মনে
হয়
ইউনিয়ন
কাউন্সিলের
নির্বাচন!
এগুলো
থেকে
বেরিয়ে
আসতে
হবে,
তা
না
হলে
আজ
হোক
আর
কাল,
বিদেশীরা
এ
দেশে
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শাখা
খুলবে
এবং
শিক্ষা
বাণিজ্য
তারা
করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো
রেজাল্ট
করা
এবং
আসলেই
ভালো
ছাত্র,
তারা
বিদেশে
চলে
যাচ্ছেন;
আর
আসছেন
না।
তারা
সেবা
দিচ্ছেন
বিদেশকে।
এতে
অযোগ্যরা
বেশ
আনন্দিত
হন।
এখন
উপাচার্য
নিয়োগের
যে
পদ্ধতি,
তাতে
রাজনীতি
না
করে
তো
শিক্ষকদের
উপায়ও
নেই।
সিন্ডিকেট
বা
সিনেটের
সদস্যরা
যদি
ভোট
দেন,
তাতে
কোনো
অধ্যাপক
উপাচার্য
হতে
পারছেন
না।
তিনজন
ঊর্ধ্বক্রমের
অধ্যাপকের
মধ্যে
একজন
উপাচার্য
হবেন।
তাকে
নিয়োগ
দেন
চ্যান্সেলর।
পার্টির
আগ্রহের
বাইরে
যেসব
অধ্যাপকের
অবস্থান,
তারা
যত
বড়
গবেষকই
হোক
না
কেন,
যত
বড়
অধ্যাপকই
হোক
না
কেন,
উপাচার্য
হতে
হলে
যে
পার্টি
যখন
ক্ষমতায়
সেই
পার্টাির
স্তুতি
গাইতেই
হবে।
এখন
নিজেদের
কাছেই
যদি
আমরা
প্রশ্ন
করি,
এ
পদ্ধতিতে
উপাচার্য
নিয়োগে
এবং
তাদের
কার্যাবলিতে
বিশ্ববিদ্যালয়,
শিক্ষা
ও
দেশ
কতটা
উপকৃত
হয়েছে
বা
হচ্ছে?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
অনলাইন
পরীক্ষা
গ্রহণ
প্রসঙ্গে
একটি
সত্য
ঘটনার
উল্লেখ
করতে
চাইছি।
বরিশাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের
দুজন
শিক্ষার্থী
তাদের
গ্র্যাজুয়েশন
পরীক্ষা
প্রায়
শেষ
করে
ফেলেছেন,
মাত্র
দুটি
পরীক্ষা
বাকি
থাকতেই
২০২০
সালে
করোনার
কারণে
সব
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ
হয়ে
যায়।
শিক্ষার্থী
দুজনই
প্রকৃত
মেধাবী,
যদিও
শিক্ষকদের
বিবেচনায়
তাদের
বিভাগে
সেভাবে
স্থান
দেয়া
হয়নি;
আমাদের
বিশ্ববিদ্যালয়ে
কিছু
শিক্ষক
এ
কাজ
করেন।
দু্জনই
মাস্টার্স
করার
জন্য
ফ্রান্সের
একটি
প্রথম
গ্রেডের
বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি
পেয়েছেন।
গ্র্যাজুয়েশন
শেষ
করেই
তাদের
সেখানে
যেতে
হবে।
দুটো
পরীক্ষা
বাকি
থাকায়
হয়েছে
সমস্যা।
শিক্ষার্থী
দুজন
বিশ্ববিদ্যালয়ের
চেয়ারম্যান,
একাডেমিক
কাউন্সিল
ও
উপাচার্য
পর্যন্ত
অনেক
ছোটাছুটি
করেছেন।
তাদের
দাবি
ছিল
বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্বায়ত্তশাসন
ব্যবহার
করে
বিশেষ
ব্যবস্থায়
পরীক্ষা
নেয়ার,
যাতে
তারা
ওই
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সেশন
ধরতে
পারেন কিংবা
দেশেই
অনলাইন
পরীক্ষার
আয়োজন
করেন
অথবা
ফ্রান্সে
যাওয়ার
পর
তারা
অনলাইন
পরীক্ষা
দেবেন—এ
ব্যাপারে
উপাচার্যের
একটি
অনুমতিপত্র
দেয়া।
কোনো
শর্তেই,
কোনো
যুক্তিতেই
কেউ
রাজি
হননি।
উল্লেখ্য,
বরিশাল
বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে
ইউরোপের
কোনো
উন্নত
মানের
বিশ্ববিদ্যালয়ে
এই
প্রথমবারই
কোনো
শিক্ষার্থী
সুযোগ
পেয়েছেন।
তার
পরেও
কারোর
কোনো
আগ্রহ
কিংবা
উৎসাহ
ছিল
না।
আমাদের
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্যদের
তো
এসব
বিষয়
নিয়ে
কোনো
আগ্রহ
থাকে
না,
তারা
পারেন
অবৈধভাবে,
কোনো
নিয়মনীতির
তোয়াক্কা
না
করে
অনেককে
চাকরি
দিতে।
কারণ
তারা
সরকারি
দলের,
সরকারকে
এভাবে
খুশি
করতে
পারলেই
সব
পার।
শিক্ষার্থী
দুজন
আমাকে
পুরো
ব্যাপার
জানিয়েছেন।
পরে
তারা
শিক্ষা
সচিবের
সঙ্গে
দেখা
করেছেন,
তিনিও
অপারগতা
প্রকাশ
করেছেন।
শেষে
শিক্ষামন্ত্রীর
সঙ্গে
দেখা
করে
তাকে
বুঝিয়েছেন
তারা
ফ্রান্সে
গিয়ে
অনলাইনে
পরীক্ষা
দেবেন
এবং
তারা
যদি
এবারের
সেশন
(২০২০) ধরতে
না
পারেন
তাহলে
বৃত্তির
সুযোগ
হাতছাড়া
হয়ে
যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী
ব্যাপারটি
বুঝেছেন
এবং
শিক্ষার্থী
দুজনকে
অভিবাদন
জানিয়ে বলেছেন,
‘তোমরা
দেশের
সম্পদ,
তোমাদের
জন্য
দেশের
এই
কাজটুকু
তো
করতেই
হবে।’
মন্ত্রী
নিজে
যখন
উপাচার্যকে
বললেন
ওরা
ফ্রান্সে
গিয়ে
অনলাইনে
বাকি
পরীক্ষা
দুটো
দেবে,
তিনি
তখন
রাজি
হলেন
এবং
শিক্ষার্থী
দুজন
বিশ্ববিদ্যালয়ে
গিয়ে
ঠিকমতো
সেশন
ধরেছেন।
তাদের
মাস্টার্স শেষ,
এখন
ইন্টার্নশিপ
করছেন।
যে
কোম্পানিতে
তারা
ইন্টার্নশিপ
করছেন,
সেই
কোম্পানির
নিজস্ব
সেন্টার
রয়েছে
ওই
বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসে।
চমত্কার!
আমাদের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
কি
এসব
কথা
কখনো
চিন্তাও
করে?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়
কি
এগুলো
চলতেই
থাকবে?
বিদেশী
বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষকদের
‘সাইটেশন’
দেখে
যেমন
তাদের
র্যাংকিং
ও
মান
ধরা
হয়,
সেখানে
আমাদের
শিক্ষকদের
ক্ষেত্রে দেখতে
হয়
তারা
কয়টি
ছাত্র
আন্দোলন
থামিয়েছেন,
কতজন
শিক্ষক
কর্মচারী
অবৈধভাবে
চাকরি
দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
কোনো
র্যাংকিংয়েই
কোনো
বছর
আমাদের
কোনো
বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্থান
থাকে
না,
কারণ
উল্লিখিত
মানদণ্ডগুলো
তো
র্যাংকিংয়ে
সহায়তা
করে
না।
মাছুম বিল্লাহ: শিক্ষা গবেষক