৭২ কোটি ডলারের বার্ষিক লোকসানে ক্যাথে প্যাসিফিক

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্যাথে প্যাসিফিকের বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। গত বছর সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ ৫৬০ কোটি হংকং ডলারে (৭২ কোটি মার্কিন ডলার) দাঁড়িয়েছে। হংকংয়ের রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটির লোকসান বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস আগের বছরের চেয়ে কম। খবর বিবিসি।

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলমান ছিল হংকংজুড়ে। অবস্থার মধ্যেও লোকসান কিছুটা কমিয়ে আনতে পেরেছে সংস্থাটি। বছরজুড়ে কার্গোর উচ্চ চাহিদা এবং ব্যয় কমানোর পদক্ষেপের কারণে এমন উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ১৫০ কোটি হংকং ডলার নগদ ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ উড়োজাহাজের ক্রুদের কোয়ারেন্টিন নীতি আবারো কঠোর করা হচ্ছে।

ক্যাথে প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী অগাস্টাস ট্যাং এক বিবৃতিতে বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধে যাত্রীদের ভ্রমণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে কার্গোর চাহিদা অনেক বেশি ছিল।

এয়ারলাইনসটি পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ২০২১ সালে বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ হবে ৫৬০ কোটি থেকে ৬১০ কোটি হংকং ডলার। সেখানে বাজারের বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল লোকসানের পরিমাণ হবে হাজার কোটি হংকং ডলার। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ ছিল হাজার ১৬৫ কোটি হংকং ডলার।

চলতি বছরের পূর্বাভাসে ক্যাথে জানিয়েছে, উড়োজাহাজ ক্রুদের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টিন নিয়ম-কানুনের কারণে মাসিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি হংকং ডলার।

এয়ারলাইনসটি জানিয়েছে, মাসে সংস্থাটি প্রাক-কভিড পর্যায়ে মাত্র শতাংশ যাত্রী পরিবহন করছে। তবে মহামারীপূর্ব কার্গোর প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহন হচ্ছে।

অগাস্টাস ট্যাং বলেন, এভাবে সক্ষমতা কমানোর ফলে ক্যাথে প্যাসিফিকের ব্যবসার ওপর বেশ প্রভাব পড়বে। আমরা আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম খরচের ভিত্তির ওপর তার প্রভাব বিশ্লেষণ করছি। চীনের নীতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে শূন্য কভিড নীতি গ্রহণ করেছে হংকং। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্লাইট আনাও বন্ধ করেছে তারা। যদিও ক্যাথের পাইলটরা এর আগে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, এসব নিয়মনীতি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে, তার একটা প্রভাব পড়ছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন