সব দিক থেকে চাপে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি,সিলেট

সব দিক থেকেই চাপ দেয়া হচ্ছে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের। চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না তারা। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুডকোর্ট বন্ধ করে দেয়ায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ক্যাফেটেরিয়াতো বন্ধই রয়েছে। যে মোবাইলগুলোতে অর্থসহায়তা আসতো সেগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

এছাড়াও আন্দোলনকারীদের অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগে রাজধানী থেকে শাবিপ্রবির সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের খবরও পাওয়া গেছে। তবে আন্দোলনে এখনো অনড় শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনে সব শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে অনশনে বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার টানা ৭ম দিন অতিবাহিত করেছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন আন্দোলকারীরা।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি ইউনিট। সোমবার গভীর রাত থেকে হঠাৎ করে এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

মেডিক্যাল টিমের সমন্বয়ক ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যেসব অনশনকারীকে হাসপাতালে পাঠাই, তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই আবার ক্যাম্পাসে চলে যান। ফলে তাদের জীবন যেমন সংকটে পড়ছে, তেমনি আমরাও সমস্যায় পড়ছি। অনশনকারীদের অনেকেরই করোনার উপসর্গ আছে, কিন্তু তারা টেস্ট করাতে রাজি হচ্ছেন না। এজন্য আমরা নিজেরাও ঝুঁকিতে পড়েছি। তাই আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। তবে এসব করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী অনশনে বসব। তবু আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।

আন্দোলনকারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় রাজধানী থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন, আর্কিটেকচার বিভাগের রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ। পরিবারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের আর্থিক সহযোগিতা করায় তাদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। আটক বাকি দুজনের পরিচয়  জানা যায়নি।

সোমবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে বিদ্যুৎ পুন:সংযোগ দেয়া হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, উপাচার্য ছাড়াও ওই এলাকায় কিছু কর্মচারীদের ঘর বাড়ি ও শিক্ষক ডরমেটরি রয়েছে। তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন