বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বরাবর চিঠি লিখেছেন ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের স্লোভাকিয়ান সদস্য
ইভান স্টেফানেক। গত ২০ জানুয়ারি ইইউ পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের শীর্ষ প্রতিনিধি
ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেলকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ অনুরোধ জানান
চিঠিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়নের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ উল্লেখ
করা হয়। সেখানে স্টেফানেক বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
তাই বিষয়টি খুবই গুরুতর। র্যাবের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালে টেকনাফে কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যার প্রসঙ্গ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি
বাংলাদেশে নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে সে বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন ইউরোপীয়
পার্লামেন্টের এ সদস্য। তিনি জানান, এ বিষয়ে জাতিসংঘ একটি তদন্ত করছে।
এর আগেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে বলে জানান স্টেফানেক। জোসেপ বরেলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পুরো
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমি প্রত্যাশা করবো আপনি নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে র্যাবের
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন।
অবশ্য তিন পাতার চিঠিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেছেন
এ স্লোভাকিয়ান সদস্য। তিনি বলেন, ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত
হবে।দেশটির মাথাপিছু আয় বেড়েছে, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ
তার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। পায় দুই দশক ধরে দেশটির জিডিপির প্রবৃদ্ধি
৬ শতাংশের উপরে রয়েছে। বিভিন্ন সূচক দেখে বোঝা যায় যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি
আরো এগিয়ে যাবে। আরো কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন
হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
স্টেফানের আশঙ্কা, দেশটির এসব উন্নয়ন যেন মানবাধিকার লঙ্ঘণের মতো কারণে
ম্লান না হয়ে যাচ্ছে।।