কভিড-১৯ মহামারীটি এখন জটিল পর্যায়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রেয়াসুস। এজন্য মহামারীর চূড়ান্ত অবস্থা শেষ করতে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রী সোভেনজা শুলজেরের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গেব্রেয়াসুস।
রয়টার্স জানায়, সংবাদ সম্মেলনে গেব্রেয়াসুস বলেন, কভিড-১৯ মহামারী এখন তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে। বিশ্ব একটি কঠিন মুহূর্তে রয়েছে। কভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে সবার কাছে সব ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। এ মহামারীর তীব্র পর্যায়ের অবসান ঘটাতে বিশ্বকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আতঙ্ক ও অবহেলার মধ্য দিয়ে এটিকে টিকিয়ে রাখার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, জার্মানি এজেন্সির বৃহত্তম দাতা রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংগঠনটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক অবদান রাখা দেশ। তারা বিভিন্ন সময় অবদান রেখে আসছে। তাই মহামারী নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকাই বেশি।
এদিকে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের মাধ্যমেই ইউরোপে কভিড মহামারী শেষ হতে পারে বলে মনে করেন ডব্লিউএইচওর ইউরোপের পরিচালক হ্যানস ক্লাগ। এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেন তিনি।
ওমিক্রন মার্চের মধ্যে ইউরোপের ৬০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে জানিয়ে হ্যানস ক্লাগ বলেছেন, এ অঞ্চলে কভিড মহামারী শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপজুড়ে ওমিক্রনের বর্তমান ঢেউ কমে গেলে, বেশ কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে বিশ্বব্যাপী এটি কমের দিকে যাবে। এছাড়া এটি মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি তৈরি করবে। এর জন্য ভ্যাকসিন ও সংক্রমণের কারণে মানুষের ইমিউনিটিকে ধন্যবাদ দিতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরের শেষের দিকে কভিড-১৯ শান্ত অবস্থায় থাকবে। তবে ভয়ংকরভাবে মহামারীটি আর ফিরে আসবে না। এর আগে শীর্ষ মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি একই মন্তব্য করেছিলেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে এবিসি নিউজের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে কভিড-১৯ সংক্রমণ তীব্রভাবে কমে আসছে। ওমিক্রনের মাধ্যমে মহামারী শেষ হতে পারে মনে হচ্ছে।