ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি। গতকাল যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতারা। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান। এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ‘ভবদহ ও তত্সংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’
অবিবেচনাপ্রসূত সেচ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। ক্রাশ প্রোগ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়া টিআরএম চালু করতে হবে। ভবদহ স্লুইস গেটের ভাটিতে পাইলট চ্যানেল করার জন্য পাঁচ-ছয়টি এক্সক্যাভেটর লাগাতে হবে এবং ২১, ৯ ও ৮ ভেন্টের গেটগুলো ওঠানামার ব্যবস্থা করতে হবে। জনপদের ফসল, বাড়িঘরসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কৃষিঋণ মওকুফ ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমডাঙ্গা খাল সংস্কার কাজে প্রি ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক জনসমক্ষে টানিয়ে দিতে হবে। কাজের স্বচ্ছতা নিরূপণে সেনাবাহিনী, আন্দোলনকারী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান, নদী হত্যা, জনপদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, ফসল, বসতবাড়ি ও জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালি স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ছয় দফা বাস্তবায়নে পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আপনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্ত জনপদের মানুষের কঠোর প্রতিবাদ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতা, সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ওই জনপদকে মহাবিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে।
