সাত সতেরো

উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা প্রসঙ্গে

ড. মো. আব্দুল হামিদ

বলুন তো, একজন সফল উদ্যোক্তার সবচেয়ে দরকারি গুণ কোনটি? ক্রিয়েটিভিটি বা নিত্যনতুন আইডিয়া সৃষ্টির ক্ষমতা, তাই না? আপনি যদি প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলে থাকেন তবে খুব সম্ভবত বাস্তবতা থেকে বেশ দূরে রয়েছেন। কারণ এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের টিকে থাকার ক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতাকে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন।

তার পরে রয়েছে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান দেয়ার ক্ষমতা। টাইম ম্যানেজমেন্ট যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতার পরে স্থান হয়েছে ক্রিয়েটিভির! হয়তো সে কারণেই ওয়ারেন বাফেট বলেন, আমাকে যদি দুজন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলেন যাদের একজনের আইকিউ অনেক বেশি এবং অন্যজন ধৈর্যশীল ডিসিপ্লিনড। তাহলে আমি পরের জনকেই পছন্দ করব। কারণ ব্যবসায়ে তীক্ষ মেধার চেয়ে লেগে থাকা গুণ অনেক বেশি দরকার হয়।

আমাদের দেশে ঠিক কতজন মানুষ প্রতি বছর উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করেন। তাদের কত শতাংশ টিকে থাকেন বা ঝরে যান সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া মুশকিল। সম্প্রতি কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেগুলো মূলত গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা রিপোর্ট বা ফিচার থেকে পাওয়া। ফলে একই বিষয়ে তথ্যের ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।

তবে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়। তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করে। তাছাড়া কিছু সংস্থা এখন বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তাচিত্র নিয়মিত তুলে ধরতে চেষ্টা করছে। তেমন নানা উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভর করেই আজকের নিবন্ধটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

২০১৯ সালের তথ্যমতে, গোটা বিশ্বে মোট ৫৮২ মিলিয়ন উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫২ মিলিয়ন নারী। উল্লেখ্য, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ৪৫ দশমিক শূন্য শতাংশের মালিকানা রয়েছে নারীদের হাতে। নবীন উদ্যোক্তাদের মধ্যে ইতালি, পোল্যান্ড ভারতে নারীদের হার তুলনামূলকভাবে কমছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকায় নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বেশ বেড়েছে।

গোটা দুনিয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে উদ্যোক্তা হওয়ার হার ছিল লক্ষণীয়। শুধু ২০১৯ সালে উদ্যোক্তা বেড়েছে ১৭ দশমিক শতাংশ। আমেরিকায় ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত আট লক্ষাধিক ব্যবসা পাওয়া গেছে যেগুলোর বয়স ছিল এক বছরের কম!

২০২১ সালের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, করোনা মহামারীর প্রভাবে বিশ্বের শতকরা ৩১ ভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য শতকরা ৭৮ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মহামারীর পরও টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে তথ্য বলছে, সাধারণ সময়েও ২০ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা প্রথম বছরেই ব্যর্থ হন।

দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপ নর্থ আমেরিকায় শতকরা চারজন, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা পূর্ব এশিয়ায় দুজন এবং লাতিন আমেরিকা ক্যারিবীয় অঞ্চলে একজন ব্যবসা শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেটা ছেড়ে দেন। অর্থাৎ প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ বা চাপ সহ্য করতে পারেন না। অন্যদিকে মাত্র তিন মাসের মধ্যে লাভের মুখ দেখার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। সেদিক থেকে ওমান, মিসর, পানামা কলম্বিয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে সফলতার হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ (১৮ দশমিক শতাংশ) উদ্যোক্তা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। আমাদের দেশেও চিত্র প্রায় অভিন্ন। কারণ অধিকাংশ মাইক্রো, ক্ষুদ্র মাঝারি পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন তাদের উত্তরাধিকাররা। তাছাড়া প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলো মূলত পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লাতিন আমেরিকানদের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসা শুরুর প্রবণতা বেশি। সেখানে সবাই শুরুতে ভালো করে ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে এমনও দেখা গেছে, প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তার চেষ্টা পরবর্তী সময়ে কেউ একজন ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটিয়েছেন। তাই তারা পারিবারিক উদ্যোগগুলো কষ্ট করে হলেও টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট থাকেন। বংশের কেউ না কেউ একদিন সফল হবে বলে তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।

বিশ্বময় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মুনাফাবিষয়ক তথ্য বলছে, প্রতি চারজনের তিনজনই (৭৮ শতাংশ) চলমান ব্যবসায়ে লাভ করছেন। অধিকাংশ উদ্যোক্তাকে আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজস্ব (পরিবার বা বন্ধু থেকে সংগৃহীত) উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। শতকরা ৬২ জন এমন পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য পান না বা তার জন্য অপেক্ষা করার মতো যথেষ্ট সময় হাতে থাকে না।

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিজনেস বিষয়ে ডিগ্রি থাকা কি জরুরি? না, আসলে কোনো বিষয়েই স্নাতক হওয়া জরুরি নয়। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দুনিয়ায় মাত্র শতাংশ উদ্যোক্তার ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে। আর ৩০ শতাংশের রয়েছে হাইস্কুল পাসের যোগ্যতা! যেকোনো পরামর্শের জন্য উদ্যোক্তাদের সিংহভাগ (২৬ শতাংশ) সর্বপ্রথম সাবেক বর্তমান সহকর্মীদের সাহায্য চান। তার পর ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন ১৯ শতাংশ। আর বই পড়ে সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করেন শতকরা ১৪ জন।

আমাদের মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশই তরুণ যুবক। তারা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ তরুণনির্ভর অবস্থার সুবিধা আদায় করতে হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হওয়া দরকার। ধারণা করা হয়, প্রতি বছর ২২-২৭ লাখ যুবক আমাদের শ্রমবাজারে যুক্ত হয়। এর মধ্যে সাত লাখ তরুণ স্বল্প সময়ের মধ্যে কর্মে যুক্ত হতে পারে। বর্তমানে কর্মরতদের প্রায় ৯০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে।

চীন ভারত বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশ। তাদের বেকার সমস্যার সমাধানে উদ্যোক্তা হওয়া একটি বড় পন্থা। আমাদের তরুণ সমাজকেও সে পথে হাঁটতে হবে। নইলে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান স্বল্পমেয়াদে হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমাদের দেশে শ্রম অনেক সস্তা হওয়ার পরও তুলনামূলকভাবে বিদেশী বিনিয়োগ কম হচ্ছে।

আমাদের দেশে পরিকল্পিতভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার সংখ্যা একেবারেই কম। কারণ আমাদের মা-বাবা সন্তানদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় দেখতে চান না। তাছাড়া চাকরির সঙ্গে মান-মর্যাদা জড়িত বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলে যত কম বেতনই হোক না কেন তারা চাকরিকে অগ্রাধিকার দেন।

কিছুসংখ্যক ব্যক্তি কোনো এক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার পরে সেটায় লেগে থাকতে চেষ্টা করেন। ২০০৭ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় গঠিত এসএমই ফাউন্ডেশনে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ প্রশিক্ষণ নেয়। তাদের অন্তত ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা হন বলে জানা যায়। অনেকে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরও মূলধনের অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন না।

বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা হওয়ার মূল প্রেষণা হলো নিজেই নিজের বস হওয়া। অর্থাৎ তারা অন্যদের অধীনে কাজ করার চেয়ে নিজে একটা কিছু করতে চান। অন্যের প্রতিষ্ঠানে কঠোর পরিশ্রমের চেয়ে যত ছোটই হোক না কেন, নিজের জন্য সেটা করতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি (৫৫ শতাংশ) উদ্যোক্তা এটাকেই প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে শতকরা ৩৯ জন বলেন, নিজের প্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে তারা পথে নেমেছেন। অর্থাৎ একজন হয়তো ছবি তুলতে খুব পছন্দ করেন। তাই ফটোগ্রাফি রিলেটেড একটা ব্যবসায় শুরু করেছেন; যেন সারা জীবন পছন্দের কাজটি করে যেতে পারেন।

তার পরের গোষ্ঠী হলো, করপোরেট কালচারে দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে যাওয়া গোষ্ঠী। তরুণ বয়সে স্মার্ট ক্যারিয়ার উপভোগ করলেও জীবনের একপর্যায়ে গিয়ে অনেকেই সেটা আর নিতে পারেন না। ফলে অভিজ্ঞতা নেটওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করে যত ছোটই হোক না কেন, নিজে একটা কিছু শুরু করেন।

গবেষণা বলছে, মধ্য বয়সে যারা ব্যবসায় উদ্যোগ নেন তাদের সফল হওয়ার হার বেশি। কারণ তখন জীবন সম্পর্কে তাদের বিস্তর অভিজ্ঞতা থাকে। আবেগের পাশাপাশি যুক্তিকে প্রাধান্য দিতে শেখে। ধৈর্যশীল হন, লেগে থাকতে পারেন। তাছাড়া ছুটে পালানোর জায়গাও (বিকল্প) খুব একটা থাকে না। তাই নীরবে কাজ করতে থাকেন। এক সময় অনেকেই সফল হন।

আমাদের দেশেও সাম্প্রতিককালে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিশেষত ক্যারিয়ার মাঝখানে গিয়ে বিদেশী কর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কিংবা কর্তৃপক্ষের স্বজনপ্রীতির কারণে অনিশ্চয়তা শুরু হয়। তখন তারা জব কুইট করে নিজে কিছু করতে সচেষ্ট হন। বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের গড় বয়স ৫০ দশমিক বছর। অন্যদিকে এমআইটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, সফল ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই শুরু করেছেন বয়স ৪০ বছর হওয়ার পরে।

তরুণদের অনেকেই শুরু করার পরও লেগে থাকতে পারেন না। এমন প্রবণতার পেছনে প্রধান কারণ হলোতাদের আইকন স্টিভ জবস জাকারবার্গ যারা যথাক্রমে ২১ ১৯ বছর বয়সে নিজেদের ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। তরুণরা কল্পনা করেন, তারাও বুঝি কোনো উদ্যোগ নেয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যেই তেমন বিজনেস টাইকুনে পরিণত হবেন! কিন্তু তারা এটা খেয়াল করেন না যে, আমেরিকার মতো জায়গায় ৬২ শতাংশ উদ্যোক্তা একাই নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান। মাত্র ১০ শতাংশ উদ্যোক্তার পাঁচজন বা তার চেয়ে বেশি কর্মচারী রয়েছে!

এখন প্রশ্ন হলো, একজন উদ্যোক্তা দিনে ঠিক কত ঘণ্টা পরিশ্রম করেন? আমেরিকার মতো ভোগবাদী সমাজেও উদ্যোক্তারা নিজ থেকে প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের চেয়ে বেশি সময় কাজ করেন। তাদের ৭০ শতাংশ বলেছেন, প্রতি সপ্তাহে গড়ে অবশ্যই ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করে থাকেন। আর ১৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিশ্রম করেন সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টারও বেশি!

আমাদের দেশে চাকরিজীবীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারিত থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য বা কৃষিতে নিয়োজিতদের তেমন কোনো বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। কিন্তু তাদের অনেকেই দিনে ১৬-১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। সেভাবে নির্ধারিত ছুটির দিন নেই। এমনকি উৎসবের সময়ও তারা ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকেন। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন বলে সেভাবে ক্লান্ত হন না। বরং আরেকটু বেশি কাজ করতে পারলে ভালো হতোএমন ভাবনা মাথায় নিয়ে প্রতি রাতে ঘরে ফেরেন।

বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোক্তাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। ২০১৩ সালের এক তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৭০ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছিলেন। দেশে মোট কর্মসংস্থানের ৩১ শতাংশ হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠানে।

গোটা বিশ্বে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের আউটসোর্সিং মার্কেট রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ভারত ১৪০, ফিলিপাইন ২০, এমনকি শ্রীলংকা বিলিয়ন ডলারের কাজ করে। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র দশমিক বিলিয়ন ডলার আয় করছে! সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেটভিত্তিক বিপুলসংখ্যক উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ছিল ওয়েবসাইট-নির্ভর এবং ৫০ হাজারের মতো ফেসবুকভিত্তিক। অর্থাৎ আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী সেদিকে ঝুঁকলে বড় একটি খাত অপেক্ষা করছে। সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে এর পরিমাণ বাড়াতে সচেষ্ট রয়েছে। মেধাশ্রম শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

 

. মো. আব্দুল হামিদ: শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক সুখের অসুখ বইয়ের লেখক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন