ভারত থেকে পণ্য রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়ালমার্ট। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৭ সাল থেকে বার্ষিক ১ হাজার কোটি ডলারের পণ্য ভারত থেকে রফতানি করবে মার্কিন বহুজাতিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় বিক্রেতাদের অবস্থান তুলে ধরতেও সহায়তা করবে ওয়ালমার্ট। খবর টেকরাডার।
বিক্রেতাদের সংগঠন ওয়ালমার্ট মার্কেটপ্লেসে ভারতীয় বিক্রেতাদের যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ওয়ালমার্ট। প্রতি মাসে এ সংগঠন ১২ কোটি মার্কিন ভোক্তাকে পরিষেবা দিয়ে থাকে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রধান বাজার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ভারত থেকে নতুন বিক্রেতার সন্ধান করছে ওয়ালমার্ট। এর মাধ্যমে ওয়ালমার্ট মার্কেটপ্লেসের পণ্য সংগ্রহও সমৃদ্ধ হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এক বিবৃতিতে ওয়ালমার্ট জানায়, নির্বাচিত বিক্রেতারা ওয়ালমার্ট ফুলফিল সার্ভিসেসের সুবিধাভোগী হবেন। ফলে বিক্রেতারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়ালমার্টের গুদামঘর ও সরবরাহের জন্য অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া কার্যক্রম চালাতে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার থেকে শুরু করে, বিজ্ঞাপন ও প্রতিক্রিয়াও পাবে।
ওয়ালমার্ট আরো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটপ্লেসের বিক্রেতাদের মার্কিন ভোক্তাদের রুচি, পছন্দের বিষয়ে অবগত করবে। এছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ উপায় ও ব্যবসা পরিকল্পনার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কেও অবহিত করা হবে।
এদিকে ভারতে ‘ক্রস বর্ডার ট্রেড টিম’
প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে ওয়ালমার্ট। এর মাধ্যমে স্থানীয় বিক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরিদর্শন ব্যবস্থা, পণ্যের উন্নয়ন, প্যাকেজিং ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করা হবে। ওয়ালমার্ট জানায়, ডেলফি লেদার ইন্ডিয়া, মাহি এক্সপোর্টস, টাচস্টোন জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ও ওয়েলস্পান ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে ওয়ালমার্ট মার্কেটপ্লেসের অন্তর্ভুক্ত।
এ বিষয়ে ফ্লিপকার্টের বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান রাজনীশ কুমার বলেন, এর মাধ্যমে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক বাড়াতে পারবে। এছাড়া বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে রফতানির সেরা প্রক্রিয়া শিখতে পারবে।
ওয়ালমার্ট ও ফ্লিপকার্টের যৌথভাবে তৃণমূল পর্যায়ে ‘ওয়ালমার্ট বৃদ্ধি সাপ্লায়ার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’
নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। এর মাধ্যমে এমএসএমই (মিনিস্ট্রি অব মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস) বিক্রেতাদের ডিজিটাল সরবরাহ ব্যবস্থা ও অনুরূপ বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশে বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের প্রস্তুত করতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।