দুবাই ডিউটি ফ্রির রেকর্ড বিক্রির প্রত্যাশা

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর দুবাইয়ের ডিউটি ফ্রির বার্ষিক বিক্রি ৪০ শতাংশ বেড়ে ৫১০ কোটি দিরহামে (১৪০ কোটি ডলার) পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারীতে অব্যাহতি দেয়া কর্মীদের পুনর্নিয়োগ দেয়ারও পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানটির। খবর দ্য ন্যাশনাল।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরে যাত্রীদের আনাগোনার হার বেড়ে যাওয়ায় এমন বিক্রির পূর্বাভাস দিয়েছে দুবাইয়ের ডিউটি ফ্রি। প্রতিষ্ঠানটির দোকানে এমন সব পণ্য থাকে যেগুলোর ওপর স্থানীয় বা জাতীয় কর এবং শুল্ক আরোপ করা হয় না। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কর ছাড়া পণ্য বিক্রি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এসব পণ্য ক্রয় করে নিজ দেশে নিয়ে যেতে পারেন।

দুবাই ডিউটি ফ্রির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান চিফ এক্সিকিউটিভ কল্ম ম্যাকলাফলিন বলেন, রাশিয়া, সৌদি আরব ইসরায়েলের উচ্চ ব্যয়ী ভ্রমণকারীদের আগমনের ফলে চলতি বছর বিক্রি বাড়বে। সময় যাত্রীপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে যাবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠানে ম্যাকলাফলিন বলেন, চলতি বছরের জন্য আমরা ৫১০ কোটি দিরহাম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। ২০২১ সাল থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের আনাগোনা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চলতি বছর বিক্রি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়। অন্যদিকে এমিরেটসের বিমানবন্দর পরিচালনাকারী ২০২১ সাল থেকে বার্ষিক যাত্রী পূর্বাভাস ২০ লাখ বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশা, চলতি বছর ভ্রমণকারীর সংখ্যা কোটি ৮৭ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। ২০২২ সালের জন্য দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০ মাস বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের নভেম্বরে নম্বর টার্মিনালের কনকোর্স উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পূর্ণোদ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। আগামী মে মাসে এমিরেটসের দ্বিতীয় বিমানবন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল পুনরায় চালু করা হবে।

২০১৯ সালে বিমানবন্দরটির খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি রেকর্ড ৭৪০ কোটি দিরহাম বিক্রি করেছিল। চলতি বছর ৫১০ কোটি দিরহামের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা ধীরে ধীরে তিন বছর আগের রেকর্ডের দিকে এগোচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারীর সময় একটি ইতিবাচক অর্জন ছিলসে সময় মাথাপিছু বিক্রি ৫৩ ডলারে উন্নীত হয়েছিল। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪০ ডলার আর বর্তমানে ৫০ ডলার।

কল্ম ম্যাকলাফলিন বলেন, মানুষ আগে যে হারে ভ্রমণ করেছে এখন সেভাবে পারছে না। পরবর্তী ভ্রমণের জন্য তারা খরচ কমিয়েছে। কারণেই মাথাপিছু বিক্রি বেড়েছে বলে আমরা মনে করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন