আলোকপাত

কভিডে ব্যাংক খাতে নেতৃত্ব ও সুশাসনের উপলব্ধি

ড. শাহ্ মো. আহসান হাবীব

বিশ্বনেতৃত্ব সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। কভিড-উত্তর পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতার কারণে নেতৃত্বের ধরন, গুণগত মান ইত্যাদিসহ সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য এটিই প্রকৃষ্ট সময়। মহামারীর ধাক্কা সামলানোর জন্য নেতৃত্ব নীতিনির্ধারকরা বর্তমান পরিস্থিতিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং একই সঙ্গে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আশাবাদী হচ্ছেন। তবে হ্যাঁ, এটা সবসময় খুব সহজসাধ্য নাও হতে পারে। কেননা পরিবার, স্বজন, প্রতিবেশী, সুহূদ, সঙ্গী এমনকি জীবিকা হারিয়ে এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক/আর্থিক পরিস্থিতির সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থা মোকাবেলা করাসব মিলিয়ে একটা নির্দয় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে খুব কম সময়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে সব পরিস্থিতি সামাল দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তবে এখনই প্রকৃত সময় যখন একটি নির্ভীক কণ্ঠ ক্রমাগত সব সমস্যা থেকে উত্তরণের কথা বলবেন, আশার সঞ্চার করবেন। তিনি হলেন নেতা, সফল নেতৃত্ব। সফল নেতৃত্ব এই অনাকাঙ্ক্ষিত সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সম্ভাবনাময় আগামীর পথে উত্তরণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করবেন।

কভিড মহামারীর বিধ্বংসী গতির দ্রুততা সবাইকেই বিস্মিত করেছে। মহামারীর বিধ্বংসী অবস্থা মহামতি লেনিনের বিখ্যাত উক্তি মনে করিয়ে দেয়—‘কোনো কোনো শতক পেরিয়ে যায় যখন স্মরণে রাখার মতো কিছুই ঘটে না, আবার কোনো কোনো সপ্তাহ এক শতকে মনে রাখার মতো ঘটনার জন্ম দেয়। মহামারীর কারণে প্রথমবারের মতো জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক বিষয়, সামাজিক অবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানবিক আবেগীয় বিষয়গুলো সবকিছু একসূত্রে গাঁথা হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক, সামাজিক মানবিক বিষয়গুলোর মধ্যে একটি সমতা আনার জন্য সম্পদ জনবলের সুষম বণ্টন করে মহামারীর ধাক্কা সামাল দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।

সময়ে পণ্য সেবার জোগান দেয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে বাজারের চালচিত্রও পরিবর্তন হয়েছে। এখনো হচ্ছে। একটা বিষয়ে সবাই সহমত যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন সংস্কার অবশ্যই দরকার। এমনকি নতুন এই স্বাভাবিকতায় কোনো কোনো পরিবর্তন আরো বেশি শক্তিশালী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সেবার জোগান দেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুততা নমনীয়তা নাটকীয়ভাবে ব্যবসার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণ করেছে। সংকটকালীন দ্রুততার সঙ্গে সেবা প্রদানের বিষয়টি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ায় তা ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। দক্ষতা, উদ্যোক্তার তত্পরতা সৃজনশীলতা এখন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রার্থিত কাঙ্ক্ষিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতিশীল এবং তত্পর নেতৃত্ব বাস্তবতার নিরিখে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন এবং সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তত্পরতা গতিশীলতার বিষয়টি পরিপালনের জন্য পরিচালনগত প্রক্রিয়া দ্রুত, কৌশলী সাংঘর্ষিক না হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে দ্রুত এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা বেশ জটিল শ্রমসাধ্য বিষয়।

সম্ভবত কভিডকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল রাখা এবং সম্প্রসারণের জন্য সবচেয়ে সহজসাধ্য যে উপায়টি আমাদের হাতে ছিল বা এখনো রয়েছে তা হলো কার্যকর ক্ষমতাসম্পন্ন  যোগাযোগ  পন্থা এবং সৃজনশীল প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিজিটাল পরিবর্তনের পথে  বিচরণ। পরিবর্তনকামী নেতৃত্ব বা পরিবর্তনের নায়করা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য কার্যকর প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণকেই গন্তব্য হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির কারণে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিত্যনতুন এসব প্রযুক্তি অনুসরণ করে নিজেদের তত্পর রাখার কৌশল অবলম্বন করছে। শীর্ষ নেতৃত্বরাও এখন প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা নিয়ে অধিকতর নিশ্চিন্ত হচ্ছেন এবং এতে ডিজিটাল পরিবর্তনের দিকে প্রতিষ্ঠানকে ধাবিত করতে আগের চেয়ে অধিকতর মনোযোগী হচ্ছেন। মহামারীকালে প্রযুক্তির ওপর ইতিবাচক নির্ভরতা তীব্র হয়ে ওঠে এবং এর ফলও আমরা দেখেছি। এমনটি নয় যে ওইসময় হঠাৎ করে নতুন কোনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে এবং তা কার্যকর হয়েছে। বরং হাতের নাগালে সহজসাধ্য যা ছিল তার সর্বোত্তম ব্যবহার হয়েছে সময়ে। এমনকি আগে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব বাধাবিপত্তি ছিল, অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই তা অপসারণ হয়ে গিয়েছে।

নেতৃত্বকে সবসময়ই কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হয়। বর্তমানে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। মহামারীকালে সঠিক সময়ে সঠিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয়টি ছিল সবচেয়ে কঠিন। এমনকি রকম সময়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে পারাটাও  বড় কোনো ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তার জন্য অনেকের কাছে পর্যাপ্ত সময় নাও থাকতে পারে। সর্বোপরি গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য কী পরিবর্তন আনতে পারে সেটি সম্পর্কেও ধারণা না- থাকতে পারে। প্রয়োজনের খাতিরে পরিবর্তন আনতে হবে এবং এটা সহজতর কোনো বিষয় নয়। বিশেষত অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত কোনো পরিবর্তন আনা প্রকৃতপক্ষে একটি কঠিন কাজ। নানামুখী পরস্পর নির্ভরশীল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য-উপাত্ত একান্ত প্রয়োজন এবং বিষয়ে অধিকসংখ্যক জনসাধারণের মতামত জানা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। অপ্রতিসম বা অসম্পূর্ণ তথ্য এবং তা গ্রাহক/ভোক্তার কাছে পৌঁছানো দুয়ের মাঝে যে ব্যবধান বা শূন্যতা রয়ে যায় তা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার জন্য নেতৃত্বকে তার পরিচালনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে সহযোগিতা যোগাযোগের ক্ষেত্র আরো সহজতর করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত ডিজিটাল দুনিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমে বাড়ছে। ফলে সময়ের অপচয়ও কম হচ্ছে এবং খরচ কমিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে।

উন্নয়ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেতৃত্বের কাজ করা প্রয়োজন। সংকটকালীন সময়ে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজন একটি সুনির্বাচিত চৌকস দল, যারা যেকোনো প্রয়োজনে শীর্ষ নেতৃত্বকে সহায়তা করতে পারবেন। এটা মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। কভিড পরিস্থিতিতে যেকোনো ব্যবসা টিকে থাকার জন্য প্রেরণা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে অংশীদারিত্বমূলক নেতৃত্ব সবচেয়ে কার্যকরী। অংশীদারিত্বমূলক নেতৃত্ব ব্যক্তিক কাজের ধরনকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় মানবসম্পদের জোগান দেয়াসহ তাদের প্রেরণার মাত্রা উজ্জীবিত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে একদিকে যেমন আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ বা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে, তেমনি অন্যদিকে কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনার সঞ্চার হয় বলে কাজের পরিবেশ ক্ষেত্র সমৃদ্ধ হয়। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীই যে পরিবর্তনকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করবেন তা কিন্তু নয়। তবে নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেই হবে। নতুন এই স্বাভাবিকতার কারণে সময় এসেছে ভোক্তা চাহিদার ধরন নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার। আশার কথা যে প্রযুক্তিনির্ভর সম্প্রসারিত বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাহিদার দিক থেকে আমরা প্রস্তুত এবং সহজেই এর সঙ্গে আমরা খাপ খাইয়ে নিচ্ছি। কিন্তু সমৃদ্ধ খাতগুলোয় ভোক্তা প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন।

অনেক মিল থাকলেও ব্যাংক সুশাসন জটিলতা অন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা। কভিডের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একটি নতুন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। সুশাসন ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য কিছু মৌলিক বিষয় আগের মতো রয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে সুশাসন সম্পর্কিত বেশকিছু পদক্ষেপও সংশোধন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির এই নাজুক পরিস্থিতিতে এন্টারপ্রাইজ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট তত্ত্ব বা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সহযোগে দায়িত্বশীল আচরণ প্রকৃতই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নতুন পরিস্থিতিতে সব অংশীদারি পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি  হচ্ছে। সব অংশীদারি পক্ষের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণের যে জনপ্রিয় ধারা চালু রয়েছে বছরের পর বছর, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকে। নতুন পরিস্থিতিতে সমাজ পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে আরো বেশি জবাবদিহিতা স্বচ্ছতাও অত্যন্ত জরুরি। তবে এর মধ্যে যেন পরিচালনা পর্ষদ শীর্ষ ব্যবস্থাপনার মাঝে যথাযথ দূরত্ব রক্ষা করার মৌলিক নীতি ভঙ্গ হয়ে না যায় তা লক্ষ রাখতে হবে। কভিড-পূর্ববর্তী বর্তমান সুশাসনের মৌলিক নীতিকে ছক দিয়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে শীর্ষ ব্যবস্থাপনা একটি সমন্বিত নেতৃত্ব তৈরি করে ব্যাংক বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তারা সীমার মধ্যে কাজ করবেন কিন্তু তাদের মাঝে বেশি দূরত্ব বা অসহযোগিতা হলে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য ব্যাহত হবে। ছক (১) 


সুশাসনের মৌলিক রেখাকে সমুন্নত রেখে দুই পক্ষের সহযোগিতার মাঝে সহজে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। ছক (২)


তবে আজকের এই বিশেষ অবস্থায় পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে শীর্ষ ব্যবস্থাপনার ব্যবধান থাকবে সবচেয়ে কম, অনেক বেশি দরকার সমন্বিত সহযোগিতামূলক আচরণ, তবে মৌলিক রেখার নীতি থাকতে হবে অটুট। ছক (৩)


দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি যে কভিডের কারণে আয়ের ক্ষেত্রে অসমতা অত্যন্ত প্রকট হয়ে আমাদের সামনে এসেছে এবং এটি আরো খারাপ পর্যায়ের দিকে যেতে পারে। অদূরভবিষ্যতে তুলনামূলক উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষকে আরো একটি অর্থনৈতিক চাপের মুখে ফেলতে পারে। নেতৃত্বকে অবশ্যই নিম্ন আয়ের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশগত বিপর্যয় রক্ষা করাও জরুরি। অবশ্য মহামারীর সময়ে দায়িত্বশীল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিজেদের জড়িত রেখেছিল। তবে অর্থনীতি সামাজিক লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি সুষম বণ্টন আনা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। প্রকৃতপক্ষে এটি এককভাবে কারো এগিয়ে যাওয়া নয়, বরং অংশীদারি সব পক্ষ সমাজ ব্যবস্থাকে একই সঙ্গে পাশাপাশি এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হওয়া উচিত।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সফল ব্যবসায়িক নেতৃত্বের পক্ষেও বাজার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করাটা দুস্কর। নতুন এই স্বাভাবিকতায় বাজার সম্পর্কে প্রচলিত ভবিষ্যদ্বাণী গ্রহণযোগ্য না- হতে পারে। বহু আশঙ্কা সত্ত্বেও অর্থনীতি ব্যবসা জগতের নেতৃত্বরা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং টিকে থাকার জন্য টেকসই একটি পন্থা উদ্ভাবনের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিক অথবা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণ, যেটাই আমাদের উদ্দেশ্য হোক না কেন, তা পূরণের লক্ষ্যে নতুন এই স্বাভাবিকতায় আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।

 . শাহ্ মো. আহসান হাবীব: অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন