অর্ধেক কর্মী নিয়ে চলবে অফিস শিগগির প্রজ্ঞাপন —স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গণপরিবহনে ভোগান্তি এড়াতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। শিগগিরই -সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সব কিছু চালু থাকায় বাসে নির্ধারিত আসনসংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না জানালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কারণেই অফিস-আদালতে উপস্থিতি অর্ধেক করে দেয়া হবে। অন্যান্য জায়গা বন্ধ করে দেশকে তো কলাপস করা যাবে না। অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস-আদালত কাজ করবে। সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নোটিসও শিগগিরই চলে যাবে এবং কার্যকর হবে।

১১ দফা সরকারি বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেও বিধিনিষেধ দিয়েছি, এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সেজন্য সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশ নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। জনগণের দায়িত্ব আরো বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি নিজেদেরই পালন করতে হবে, সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।

ধর্মীয়, সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে একশর বেশি জনসমাগম করা যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব অনুষ্ঠান থেকে অনেকে সংক্রমিত হচ্ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেকোনো অনুষ্ঠানে একশর বেশি লোক অংশ নিতে পারবে না। যারা আসবে তাদের অবশ্যই টিকার সনদ পাশাপাশি করোনা পরীক্ষায় আক্রান্ত নয়, এমন প্রতিবেদন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, অবশ্য যেখানে খেলাধুলার বিষয় আসবে, সেখানে ১০০ জনের বেশি লোক যাবে না একথা বলা যাবে না। কারণ, খেলাটা স্টেডিয়ামে হয়। সেখানে টিকা সনদ নিয়ে, টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে। এর বাইরে সম্ভব নয়। এটা সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটা বইমেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। খেলার স্টেডিয়ামে ঢুকতে হলেও টিকা সনদ করোনা টেস্টের সনদ দেখিয়ে ঢুকতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় বইমেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। তবে বইমেলা কীভাবে পরিচালিত হবে, সেখানেও একটি বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী যেভাবে চলছে, যেভাবে বিধিনিষেধগুলো দিচ্ছে, আমরাও তার বাইরে নই। তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা এখনো ভালো আছি এবং ভালোটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।

টিকা বিষয়ে তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। হাতে এখনো নয় কোটি টিকা আছে। জনসনের লাখ ৩৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছি, আরো আসবে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীরসহ অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত বছরের ২৯ মার্চ জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন