করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা জাদুঘর

আল ফাতাহ মামুন

মহামারী করোনার প্রকোপ বাড়ায় গতকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে জনসমাগম এড়ানোসহ বেশকিছু বিধিনিষেধও আরোপ করেছে সরকার। কিন্তু জাতীয় জাদুঘরসহ শাখা জাদুঘরগুলো বন্ধের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় গতকালও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল জাদুঘরগুলোতে। এদিকে অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি না জানার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে দর্শনার্থীদের।

সরেজমিন শাহবাগ জাদুঘর গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত সময় বেলা ৩টার আগে থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি না জানায় ওই সময় অনেকেই প্রধান ফটকে জটলা সৃষ্টি করে দাঁড়িয়ে থাকেন। মিরপুর থেকে সপরিবার আসা দর্শনার্থী বিজয় শঙ্কর বলেন, আমরা পাঁচজন এসেছি জাদুঘর দেখতে। বড় ভাই টিকিট কিনতে আজিজ সুপার মার্কেট গিয়েছেন, আমরা এখানে অপেক্ষা করছি।

চাঁদপুর থেকে আসা দর্শনার্থী কামাল হোসেন বলেন, এত দূর থেকে এসে দেখি জাদুঘরের টিকিট শেষ। আমি পাঁচটি টিকিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি, কিন্তু একটিও কিনতে পারিনি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ অনলাইন টিকিট পদ্ধতি চালু করেছে এবং সীমিত টিকিট বিতরণ করছে। অথচ টিকিট না পেয়ে বা টিকিটের জন্য অপেক্ষা করে সবাই গেটে জটলা করছে। এতে স্বাস্থ্যবিধি আরো লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।                                                                     

জাতীয় জাদুঘরের আওতাধীন দেশে সাতটি জাদুঘর রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় জাদুঘর, স্বাধীনতা জাদুঘর, আহসান মঞ্জিলে -টিকিট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। টিকিটও সীমিত। জাতীয় জাদুঘরে প্রতিদিন এক হাজার দর্শনার্থী পরিদর্শন করতে পারবেন। স্বাধীনতা জাদুঘর আহসান মঞ্জিলে ১০০০ দর্শনার্থী পরিদর্শন করতে পারবেন।

কয়েক দর্শনার্থী অভিযোগ করে বলেন, নিজের স্মার্টফোন থেকে টিকিট কাটতে গেলে টিকিট কাটা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আজিজ সুপার মার্কেটে টিকিট নিতে যাই। ২০ টাকার টিকিট ৪০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বিষয়ে জানতে চাইলে একজন টিকিটবিক্রেতা বণিক বার্তাকে বলেন, জাদুঘরের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এক হাজার টিকিট কাটা যায়। দেখা যায়, আমরাই টিকিটগুলো অগ্রিম কেটে রাখি। ফলে সাধারণ দর্শনার্থীরা টিকিট পায় না এবং বাধ্য হয়ে আমাদের থেকে বেশি মূল্যে কিনতে হচ্ছে।

জাতীয় জাদুঘরের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা গাজী মো. ওয়ালী-উল-হক বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের জাদুঘরে প্রবেশ করাচ্ছি। জাদুঘর বন্ধ করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমাদের দেয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা আসবে আমরা তাই মানতে বাধ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন