অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুকে তার স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ দুজনে মিলেই হত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নোবেল ও ফরহাদকে তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাম্পত্য কলহের জেরে নোবেল নিজেই শিমুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে বাল্যবন্ধু ফরহাদকে ডেকে এনে লাশ গাড়িতে তুলে কেরানীগঞ্জে ফেলে আসেন তারা।
তবে তিনদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর নতুন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রোববার সকালেও শিমুর সঙ্গে নোবেলের ঝগড়া হয়। তখনই নোবেল ও ফরহাদ তাকে হত্যা করেন।
তিনি বলেন, নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ ঢাকার একটি মেসে থাকেন। তার তেমন উপার্জন নেই। কয়েকদিন পর পরই তিনি খুব সকালে নোবেলের বাসায় এসে টাকাপয়সা নিতেন। সেদিনও তিনি সকালে নোবেলের বাসায় যান এবং ওই হত্যাকাণ্ডে নোবেলের সঙ্গে যুক্ত হন।