আত্রাই নদ খননে চলনবিলে বাড়বে শস্য ও মৎস্য উৎপাদন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নাটোর

সিংড়ায় আত্রাই নদে চলছে খননকাজ ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

চলনবিলের শস্য উৎপাদন বন্যার পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ আত্রাই নদ। পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে অল্প পানিতেই বন্যার সৃষ্টি করে আসছিল নদটি। দীর্ঘদিন পর হলেও নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আত্রাই নদের খনন কাজ শুরু হয়েছে। ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নদটির ৫০ কিলোমিটার ড্রেজিং খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এতে করে নদী নাব্যতা ফিরে পাবে। পাশাপাশি কৃষি এবং মৎস্য খাতে প্রাণ ফিরে আসবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, নওগাঁ জেলার সীমানা দিয়ে নাটোরের সিংড়া হয়ে সিরাজগঞ্জের হুরাসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে আত্রাই নদ। নদটি নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া সিরাজগঞ্জের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। এই নদকে চলনবিলের শস্য মৎস্যভাণ্ডারের উৎস বলা হয়। দীর্ঘদিন পলি জমে নদটি ভরাট হয়ে গেছে। এতে নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য শস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছিল।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, আত্রাই নদের নাব্যতা ফিরে আনতে নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলা মিলে নদটির মোট ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খনন কাজ চলছে। প্রায় ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির প্রায় ৩৫ লাখ ঘনমিটার খনন করা হচ্ছে। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজিং দ্বারা পৌর এলাকার নিংগইন, জোড়মল্লিকা এলাকায় খনন করা হচ্ছে। অপরদিকে ভেকু মেশিন দিয়েও বেশ কয়েকটি পয়েন্টে খননকাজ চলছে।

বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ জানান, চলতি বছর জুনে মধ্যে আত্রাই নদের খননকাজ শেষ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।

সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চেষ্টায় আত্রাই নদের খননকাজ শেষ হলে নাব্যতা বৃদ্ধি, কৃষকের সেচসুবিধাসহ ফসলের উন্নয়ন ঘটবে, খননকাজের সুফল পাবেন হাজার হাজার কৃষক।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্রাই নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খনন প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং দ্বারা এবং ১০ লাখ ঘনমিটার ভিন্ন পদ্ধতিতে খনন করা হচ্ছে। আগামী জুন পর্যন্ত খননকাজ চলবে। এতে নদের নাব্যতা ফিরে আসবে এবং কৃষি মৎস্য সম্পদে প্রাণ ফিরে আসবে বলে আশা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন