পোশাক নির্বাচনে ব্র্যান্ডের চেয়ে স্বস্তিটা গুরুত্বপূর্ণ

নুসরাত ফারিয়া মাজহার

নুসরাত ফারিয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কলকাতার চলচ্চিত্রেরও নিয়মিত মুখে পরিণত হয়েছেন। অভিনেত্রী পরিচয় ছাড়াও গায়িকা, মডেল, উপস্থাপিকা, রেডিও জকি, বিতার্কিকসব রঙেই রঙিন। ব্যক্তিজীবনে ভীষণ পরিপাটি নায়িকা কাজ করছেন ওয়েব ফিল্মেও। সম্প্রতি তাকে দেখা গেল একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে। শুটিং সেটে বসে সিনেমা, ফ্যাশন অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ

আইন নিয়ে পড়াশোনা করে এখন বিচারকের আসনে?

প্রথমবারের মতো আমি কোনো রিয়েলিটি শোতে এসেছি অতিথি বিচারক হিসেবে। ফলে এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। খুবই এক্সাইটেড লাগছে। আমি যখন উপস্থাপিকা ছিলাম তখন আমার প্রডিউসার ছিলেন নুরুজ্জামান ভাই, জাহাঙ্গীর ভাই। এবারো তাদের ইনভাইটেশনে এসেছি। বিষয়টা আমার জন্য খুবই সম্মানের। পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে।

কী বিচার করবেন?

এনটিভিতে হা-শো নামে একটি হাসির রিয়েলিটি শো হয় অনেক দিন ধরে। এবার চলছে হা-শোর সিক্সথ সিজন। সারা দেশ থেকে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানদের অডিশনের মাধ্যমে খুঁজে আনা হয়েছে। সবাই খুবই ট্যালেন্টেড কমেডিয়ান। তাদের জাজ করাটা আমার জন্য কঠিন। আমি জাজ করার চেয়ে উপভোগ করছি বেশি।

আমাদের পাশের দেশে এমন রিয়েলিটি শো আছে। সেগুলো খুবই জনপ্রিয়। সে তুলনায় শোয়ের কাছে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

আমাদের দেশেও হা-শো নিয়ে অনেক হাইপ। সারা দেশের মেধাবীরা এসে জড়ো হয়েছে। এদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। পাশের দেশে ধরনের অনুষ্ঠান অনেক দিন ধরে চলছে। সেই তুলনায় আমাদের কেবল শুরু বলা যায়। আশা করি, এমন আরো নতুন নতুন ট্যালেন্ট হান্ট শো আসবে এবং এসব শো থেকে প্রচুর মেধাবী শিল্পী উঠে আসবে। আমি ধরনের শো নিয়ে খুবই আশাবাদী। 

আপনার নতুন সিনেমা গানের খবর বলুন।

পর্দার আড়ালে নামে নতুন একটি সিনেমা করছি। ২২ জানুয়ারি (আজ) থেকে শুটিং শুরু হবে। এটি মূলত ওয়েব ফিল্ম। সিনেমাটি নির্মাণ হচ্ছে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে। পরিচালনা করবেন মো. পারভেজ আমিন। গল্প নির্মাতা নিজেই লিখেছেন। সংলাপ চিত্রনাট্য লিখেছেন তন্ময় মুক্তাদির। পর্দার আড়ালে সিনেমায় আমার বিপরীতে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে ইয়াশ রোহানকে। ভিন্ন রকম একটা গল্প। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হবে। আশা করি, দারুণ একটা কাজ হবে। সিনেমাটা নিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যস্ত থাকব। এরপর দেখব কী করা যায়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আপনার সহশিল্পীরা ভোটের মাঠে। আপনার কাছের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। আপনার প্রার্থী হতে ইচ্ছে করেনি?

আসলে ব্যস্ততার কারণে এভাবে ভেবেই দেখিনি। তবে এবার যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সবার জন্য আমার অনেক শুভকামনা। যারা যোগ্য, যারা শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে পারবেন, যারা জয় ডিজার্ভ করেন, তারাই যেন যেতে পারেন। দিন শেষে বিজয়ীরা শিল্পীদের সার্বিক দেখভাল করবেন, এটাই আমার প্রত্যাশা। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক বঙ্গবন্ধু-তে আপনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমন চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কি মনে হয়েছে, ভবিষ্যতে আপনিও রাজনীতি করবেন?

এটা এখন বলব না। আমার মনে হয়, এটা দর্শকের সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দিই। দর্শক সিনেমাটা দেখে বুঝুক আমার জন্য রাজনীতিতে যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেব।

আপনি তো পরিপাটি থাকেন। পোশাক প্রসাধনীর ক্ষেত্রে কোন বিষয়টা প্রাধান্য দেন?

আমার প্রিয় অনেক ব্র্যান্ড আছে। পোশাক প্রসাধনী ভেদে আলাদা আলাদা ব্র্যান্ড ব্যবহার করি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ব্র্যান্ড কোনো বিষয় নয়। পোশাক নির্বাচনে ব্র্যান্ডের চেয়ে স্বস্তির বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যে পোশাক প্রসাধনীতে আমাকে আত্মবিশ্বাসী লাগে, আমি সেটাই ব্যবহার করি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন